PM Awas Yojna Scam: আবাস যোজনায় নাম থাকলেও…
একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে আজ থেকে দু’দিন দিল্লিতে ধর্না আন্দোলনে সামিল হচ্ছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ৩ শিশু সহ ৫ জনের। জখম বেশ কয়েকজন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির নাম আবাস যোজনার তালিকায় ছিল বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে আজ থেকে দু’দিন দিল্লিতে ধর্না আন্দোলনে সামিল হচ্ছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ৩ শিশু সহ ৫ জনের। জখম বেশ কয়েকজন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির নাম আবাস যোজনার তালিকায় ছিল বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। কিন্তু টাকা আটকে থাকায় বাড়ি তৈরী করতে পারেননি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজ্যের শাসক বনাম কেন্দ্রের শাসকের বাকযুদ্ধ। এরইমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের আবাস যোজনার তালিকায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
নামখানা ব্লকের বাসিন্দা স্নেহাশিস গিরি আবাস দুর্নীতি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। শুধুমাত্র নামখানা পঞ্চায়েত এলাকার ৪৯ জনের একটি তালিকা তিনি আদালতকে দেন। যে তালিকায় সরকারি চাকরিজীবী ও পাকা বাড়ির মালিকরা আবাস যোজনার টাকা পেয়েছেন এমন নথি জমা দিয়েছেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসককে তদন্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।
৪৯ জনের তালিকায় নাম আছে নামখানা পঞ্চায়েতের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী শিবনগর আবাদের বাসিন্দা সন্তোষ ওঝা। বর্তমানে পেনশন প্রাপক। পাকা দোতলা বাড়ি তাঁর। তিনিও তিন দফায় ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন। তবে কোন বাড়ি করেননি। একই ছবি ধরা পড়ল পড়শি শ্রীহরি প্রামাণিকের ক্ষেত্রেও। তিনি বনদপ্তরের প্রাক্তণ কর্মী। শ্রীহরি ও তাঁর ছেলে অরুণ প্রামাণিকের নামে আবাস যোজনায় তোলা হয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার করে টাকা। প্রামাণিক পরিবারও বাড়ি করেনি। সবক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সরকারি ওয়েবসাইটে বাড়ি তৈরীর ছবি দেওয়া আছে। এই দুর্নীতিতে পঞ্চায়েত প্রধান, সরকারি কর্মীরা সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। তৃণমূল নেতা তথা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি শ্রীমন্ত মালি হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মীদের দিকেই দায় ঠেলেছেন। প্রশাসন যথাযথ তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে বলে তাঁর আশ্বাস।