বাড়িটার নাম গরিমা গৃহ। সমাজ যাঁদের ছুঁড়ে ফেলে কুৎসিত হুঙ্কার দেয় ছক্কা, হিঁজড়ে বা মগা বলে সেই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের এই বাড়িটা তাঁদের আদর করে আগলে রাখে। যত্নে রাখে মানুষের মর্যাদা দিয়ে। জীবনের উদযাপনের গৌরবে, মানবতার গরিমায় এই বাড়িটা তাই সরগরম। ঋতিকা, অঞ্জন, অনন্যা, শুকতারা, মানবরা এখানে থাকেন, ছবি আঁকেন, মাটির পুতুল তৈরি করেন, কেউ আবার প্রস্তুতি নেন শেফ হওয়ার। লক ডাউন পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ওপর পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার। তাই এই বাড়িতে আসতে চাইছেন ওঁরা। ওঁদের নিয়ে ভাবিত নন কেউই। ওঁরা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতে দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন। লক ডাউনে গার্হস্থ্য অত্যাচারের শিকার হচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গের শিশুরা। অনেক তৃতীয় লিঙ্গের শিশুকে মারধর করে বাড়ি থেকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, বাড়ির সদস্যরা তাদের অস্বীকার করছে। বয়সে বড় তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের সারাক্ষণ হাতের কাছে পাওয়ায় তাদের ওপরও চলছে মারধর, শারীরিক অত্যাচার ও যৌন হেনস্থা। ফলে তীব্র মানসিক অবসাদের শিকার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও রূপান্তরকামীরা। কেউ-কেউ আত্মহত্যাও করছেন। এরই পুরো উল্টো অভিমুখে বাঁচছে গরিমা গৃহের আবাসিকরা। ওঁরা তো বাঁচছেন, বাঁচাচ্ছেন অনেককে।
বাড়িটার নাম গরিমা গৃহ। সমাজ যাঁদের ছুঁড়ে ফেলে কুৎসিত হুঙ্কার দেয় ছক্কা, হিঁজড়ে বা মগা বলে সেই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের এই বাড়িটা তাঁদের আদর করে আগলে রাখে। যত্নে রাখে মানুষের মর্যাদা দিয়ে। জীবনের উদযাপনের গৌরবে, মানবতার গরিমায় এই বাড়িটা তাই সরগরম। ঋতিকা, অঞ্জন, অনন্যা, শুকতারা, মানবরা এখানে থাকেন, ছবি আঁকেন, মাটির পুতুল তৈরি করেন, কেউ আবার প্রস্তুতি নেন শেফ হওয়ার। লক ডাউন পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ওপর পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার। তাই এই বাড়িতে আসতে চাইছেন ওঁরা। ওঁদের নিয়ে ভাবিত নন কেউই। ওঁরা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতে দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন। লক ডাউনে গার্হস্থ্য অত্যাচারের শিকার হচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গের শিশুরা। অনেক তৃতীয় লিঙ্গের শিশুকে মারধর করে বাড়ি থেকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, বাড়ির সদস্যরা তাদের অস্বীকার করছে। বয়সে বড় তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের সারাক্ষণ হাতের কাছে পাওয়ায় তাদের ওপরও চলছে মারধর, শারীরিক অত্যাচার ও যৌন হেনস্থা। ফলে তীব্র মানসিক অবসাদের শিকার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও রূপান্তরকামীরা। কেউ-কেউ আত্মহত্যাও করছেন। এরই পুরো উল্টো অভিমুখে বাঁচছে গরিমা গৃহের আবাসিকরা। ওঁরা তো বাঁচছেন, বাঁচাচ্ছেন অনেককে।