রাতের অন্ধকারে মন্ত্রীর উদ্বোধন করা উচ্চ বাতিস্তম্ভ ক্ষতিগ্ৰস্থ করার অভিযোগ উঠল হুগলী জেলা গ্ৰামীন পুলিশের অধীন এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে এসেছে উচ্চ বাতিস্তম্ভটি ক্ষতিগ্রস্ত করার সিসিটিভি ফুটেজ। ঘটনার পরেই সিঙ্গুরের নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সিঙ্গুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে বাতিস্তম্ভটি ক্ষতিগ্ৰস্থ করা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী রাজনৈতিক তরজা। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রকাশ্যে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে একজন যুবক প্রথমে একটি বাতিস্তম্ভের উপর উঠে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ফায়ারিং হওয়ায় বাতি স্তম্ভ থেকে নেমে পড়ে সে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই যুবকটি কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি বাঁশ নিয়ে বাতিস্তম্ভের সামনে উপস্থিত হয়। এবং বাঁশ দিয়ে বাতিস্তম্ভটি ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে । এরপরেই নিভে গেল বাতিস্তম্ভের আলো। তারপরেই এলাকা ছাড়ে যুবকটি। এই ঘটনার পরেই নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সিঙ্গুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় গত১৪ই মে। পঞ্চায়েতের সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গুরের নসিবপুর পঞ্চায়েত বামুনপাড়া এলাকায় কয়েকদিন আগেই একটি উচ্চ বাতিস্তম্ভ লাগানো হয় মন্ত্রী বেচারাম মান্নার উদ্যোগে কৃষিজ বিপনন দফতরের সহযোগীতায়। কিন্তু অভিযোগ রাতের অন্ধকারে এক জন সিভিক ভলেন্টিয়ার নাম সুরজিৎ ধাড়া কয়েকজন নিয়ে সেটি ভাঙচুর করে। যা নিয়ে সিঙ্গুর থানার দারস্ত হয়েছে নসিবপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত। এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আর্জি জানানো হয়েছে। নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধারার দাবি, শাসক দলের এত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছে না বিরোধীরা। এত লাইট তারা সহ্য করতে পারছে না। তৃনমুল যাতে এই উন্নয়ন না করতে পারে তাই উদ্দ্যেশ প্রনোদিতভাবে এই কাজটা করা হয়েছে। এদের পরিবার কখনো সিপিএম করছে আবার কখনো সুবিধার জন্য বিজেপি করছে। তৃণমূলের অভিযোগ খন্ডন করে বাম যুব সংগঠনের সিঙ্গুর উত্তর লোকাল কমিটির সম্পাদক সুকাজল দাস জানান,এই ঘটনা না ঘটলেই ভালো হতো। তবে সিভিক ভলেন্টিয়ার যা নিয়োগ হয়েছে সব ই তৃনমুলের আমলে। মনে হয়, গোবিন্দ ধারার মতো এই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের কথাতেই এই লাইটটা ভেঙ্গেছে সিভিক ভলেন্টিয়ার। কারণ এই ধরনের নিম্নমানের লাইট থেকে প্রচুর টাকা কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। এই লাইট ভাঙ্গার মধ্যে দিয়ে আবার নতুন লাইট পোস্ট তৈরি হবে, এবং সেখান থেকে আবার কাটমানি নেবে, এটা করার জন্যেই হয়তো গোবিন্দ ধারার মতো নেতাদের কথায় সিভিক ভলেন্টিয়ার এইগুলো ভাঙছে। সিঙ্গুর বিধানসভার বিজেপি কনভেনার সুকান্ত বর্মন এ বিষয়ে জানান, যদি ঘটনাটা ঘটে থাকে তাহলে অন্যায়। কারণ বিজেপি এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নয়। তবে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করেছে তৃনমুল সরকার। তাদের ই লোক চারিদিকে ডি এ নিয়ে আন্দোলনের ফলে বিক্ষুব্দ হয়েছে। সেই বিতশ্রদ্ধ থেকেই হয়তো এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর দায় বিরোধীদের চাপিয়ে লাভ নেই। তৃণমূল ব্লক সভাপতি অভিযোগ হাস্যকর। এই দায় তাদেরই নিতে হবে। অন্যদিকে অভিযুক্ত সুরজিৎ ধাড়া র মোবাইল এ ফোন করা হলে তা বারংবার বন্ধ আওয়াজ আসে। এবং সিঙ্গুরের নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বামুনপাড়ায় তার বাড়িতে গিয়েও দেখা মেলেনি অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সুরজিৎ ধাড়ার। হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমন দীপ এ বিষয়ে জানিয়েছেন অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাতের অন্ধকারে মন্ত্রীর উদ্বোধন করা উচ্চ বাতিস্তম্ভ ক্ষতিগ্ৰস্থ করার অভিযোগ উঠল হুগলী জেলা গ্ৰামীন পুলিশের অধীন এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে এসেছে উচ্চ বাতিস্তম্ভটি ক্ষতিগ্রস্ত করার সিসিটিভি ফুটেজ। ঘটনার পরেই সিঙ্গুরের নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সিঙ্গুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে বাতিস্তম্ভটি ক্ষতিগ্ৰস্থ করা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী রাজনৈতিক তরজা। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রকাশ্যে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে একজন যুবক প্রথমে একটি বাতিস্তম্ভের উপর উঠে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ফায়ারিং হওয়ায় বাতি স্তম্ভ থেকে নেমে পড়ে সে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই যুবকটি কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি বাঁশ নিয়ে বাতিস্তম্ভের সামনে উপস্থিত হয়। এবং বাঁশ দিয়ে বাতিস্তম্ভটি ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে । এরপরেই নিভে গেল বাতিস্তম্ভের আলো। তারপরেই এলাকা ছাড়ে যুবকটি। এই ঘটনার পরেই নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সিঙ্গুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় গত১৪ই মে। পঞ্চায়েতের সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গুরের নসিবপুর পঞ্চায়েত বামুনপাড়া এলাকায় কয়েকদিন আগেই একটি উচ্চ বাতিস্তম্ভ লাগানো হয় মন্ত্রী বেচারাম মান্নার উদ্যোগে কৃষিজ বিপনন দফতরের সহযোগীতায়। কিন্তু অভিযোগ রাতের অন্ধকারে এক জন সিভিক ভলেন্টিয়ার নাম সুরজিৎ ধাড়া কয়েকজন নিয়ে সেটি ভাঙচুর করে। যা নিয়ে সিঙ্গুর থানার দারস্ত হয়েছে নসিবপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত। এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আর্জি জানানো হয়েছে। নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধারার দাবি, শাসক দলের এত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছে না বিরোধীরা। এত লাইট তারা সহ্য করতে পারছে না। তৃনমুল যাতে এই উন্নয়ন না করতে পারে তাই উদ্দ্যেশ প্রনোদিতভাবে এই কাজটা করা হয়েছে। এদের পরিবার কখনো সিপিএম করছে আবার কখনো সুবিধার জন্য বিজেপি করছে। তৃণমূলের অভিযোগ খন্ডন করে বাম যুব সংগঠনের সিঙ্গুর উত্তর লোকাল কমিটির সম্পাদক সুকাজল দাস জানান,এই ঘটনা না ঘটলেই ভালো হতো। তবে সিভিক ভলেন্টিয়ার যা নিয়োগ হয়েছে সব ই তৃনমুলের আমলে। মনে হয়, গোবিন্দ ধারার মতো এই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের কথাতেই এই লাইটটা ভেঙ্গেছে সিভিক ভলেন্টিয়ার। কারণ এই ধরনের নিম্নমানের লাইট থেকে প্রচুর টাকা কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। এই লাইট ভাঙ্গার মধ্যে দিয়ে আবার নতুন লাইট পোস্ট তৈরি হবে, এবং সেখান থেকে আবার কাটমানি নেবে, এটা করার জন্যেই হয়তো গোবিন্দ ধারার মতো নেতাদের কথায় সিভিক ভলেন্টিয়ার এইগুলো ভাঙছে। সিঙ্গুর বিধানসভার বিজেপি কনভেনার সুকান্ত বর্মন এ বিষয়ে জানান, যদি ঘটনাটা ঘটে থাকে তাহলে অন্যায়। কারণ বিজেপি এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নয়। তবে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করেছে তৃনমুল সরকার। তাদের ই লোক চারিদিকে ডি এ নিয়ে আন্দোলনের ফলে বিক্ষুব্দ হয়েছে। সেই বিতশ্রদ্ধ থেকেই হয়তো এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর দায় বিরোধীদের চাপিয়ে লাভ নেই। তৃণমূল ব্লক সভাপতি অভিযোগ হাস্যকর। এই দায় তাদেরই নিতে হবে। অন্যদিকে অভিযুক্ত সুরজিৎ ধাড়া র মোবাইল এ ফোন করা হলে তা বারংবার বন্ধ আওয়াজ আসে। এবং সিঙ্গুরের নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বামুনপাড়ায় তার বাড়িতে গিয়েও দেখা মেলেনি অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সুরজিৎ ধাড়ার। হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমন দীপ এ বিষয়ে জানিয়েছেন অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।