Cow Trafficking: ভারতের গরু বাংলাদেশে, কীভাবে হত পাচার?

Aug 12, 2022 | 9:47 PM

CBI On Cattle Smuggling: বাংলাদেশে গরু পাচারে গোবলয়ের যোগ, সাংঘাতিক সব তথ্য সিবিআইয়ের হাতে

Follow Us

কলকাতা: ভারতের গরু বাংলাদাশে পাচার। প্রথমে ভিন রাজ্য থেকে গরু কিনে পরে সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশে পাচার, বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকার রমরমা ব্যবসার সন্ধান করতে গিয়ে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের। কীভাবে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর চলেছে এই চক্র, তদন্তকারীদের হাতে এসেছে হাড়হিম করা তথ্য।

কীভাবে চলে গরু পাচার চক্র?

গরু পাচার চক্রের আঁতুড় ঘর উত্তর-পশ্চিম ভারত, মূলত গোবলয়। রাজস্থান, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশই বাংলাদেশে পাচার হওয়া গরুর প্রধান উৎস। অসুস্থ, সন্তান ধারনে অক্ষম এবং বলদ প্রজাতির গরুর চাহিদাই ছিল সবথেকে বেশি। ভিনরাজ্যের একাধিক হাট থেকেই সেই গরু কিনত বাংলা ও বিহারের ক্রেতারা। বাংলায় সেই গরু পাচারের এপিসেন্টার হয়ে উঠেছিল বীরভূমের ইলামবাজার। সেখান থেকে ‘গ্রিন করিডর’ ধরে লরি বোঝাই গরু নিয়ে যাওয়া হয় মালদা ও মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী খাটালে। এরপর অপেক্ষা।

সীমান্তের ‘সবুজ সংকেতের’ পরই শুরু হয় পাচার। ‘লাইন খোলা’ অর্থাৎ কোন সময়ে কত ঘণ্টা পর্যন্ত পাচার চলবে, সেই সিগন্যাল আসে সীমান্তরক্ষা বাহিনীর তরফে। এরপরই স্থলভাগ দিয়ে চলে পাচার। শুধু তাই নয়, গরু পাচার হত নদীপথেও। ভারতীয় ‘রাখালদের’ থেকে হস্তান্তর হয়ে সীমান্ত পার করে গরুর ‘দখল’ নেয় বাংলাদেশি ‘রাখালরা’। গরু পিছু সেই রাখালরা পায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। পাল পাল গরুর চারিদিকে কলাগাছের ভেলা বানিয়ে শিংয়ে বেধে দেওয়া হত মোবাইল। বাংলাদেশি পাচারকারীরা সেই মোবাইলে ফোন করে নির্দিষ্ট চিহ্ন দেওয়া গরু খুঁজে নেয়। সেই গরুই পরবর্তীতে বাংলাদেশি বাজারে ৮ থেকে ৯ গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়।

কলকাতা: ভারতের গরু বাংলাদাশে পাচার। প্রথমে ভিন রাজ্য থেকে গরু কিনে পরে সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশে পাচার, বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকার রমরমা ব্যবসার সন্ধান করতে গিয়ে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের। কীভাবে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর চলেছে এই চক্র, তদন্তকারীদের হাতে এসেছে হাড়হিম করা তথ্য।

কীভাবে চলে গরু পাচার চক্র?

গরু পাচার চক্রের আঁতুড় ঘর উত্তর-পশ্চিম ভারত, মূলত গোবলয়। রাজস্থান, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশই বাংলাদেশে পাচার হওয়া গরুর প্রধান উৎস। অসুস্থ, সন্তান ধারনে অক্ষম এবং বলদ প্রজাতির গরুর চাহিদাই ছিল সবথেকে বেশি। ভিনরাজ্যের একাধিক হাট থেকেই সেই গরু কিনত বাংলা ও বিহারের ক্রেতারা। বাংলায় সেই গরু পাচারের এপিসেন্টার হয়ে উঠেছিল বীরভূমের ইলামবাজার। সেখান থেকে ‘গ্রিন করিডর’ ধরে লরি বোঝাই গরু নিয়ে যাওয়া হয় মালদা ও মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী খাটালে। এরপর অপেক্ষা।

সীমান্তের ‘সবুজ সংকেতের’ পরই শুরু হয় পাচার। ‘লাইন খোলা’ অর্থাৎ কোন সময়ে কত ঘণ্টা পর্যন্ত পাচার চলবে, সেই সিগন্যাল আসে সীমান্তরক্ষা বাহিনীর তরফে। এরপরই স্থলভাগ দিয়ে চলে পাচার। শুধু তাই নয়, গরু পাচার হত নদীপথেও। ভারতীয় ‘রাখালদের’ থেকে হস্তান্তর হয়ে সীমান্ত পার করে গরুর ‘দখল’ নেয় বাংলাদেশি ‘রাখালরা’। গরু পিছু সেই রাখালরা পায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। পাল পাল গরুর চারিদিকে কলাগাছের ভেলা বানিয়ে শিংয়ে বেধে দেওয়া হত মোবাইল। বাংলাদেশি পাচারকারীরা সেই মোবাইলে ফোন করে নির্দিষ্ট চিহ্ন দেওয়া গরু খুঁজে নেয়। সেই গরুই পরবর্তীতে বাংলাদেশি বাজারে ৮ থেকে ৯ গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়।

Next Video