Bad Habits: নাক খুঁটলে কমতে পারে স্মৃতি!
Bad Habits: নাক খুঁটলে নাসিকা গহ্বরের উপর যে পাতলা টিস্যু থাকে,তার ক্ষতি হলে এই স্নায়বিক সংক্রমণ আরও গুরুতর হয়। এই সংক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে অ্যামিলয়েড-বিটা প্রোটিন নিঃসৃত হয়।
আপনার কি নাক খোঁটার বদ অভ্যাস আছে? নাক খোঁটার বদ অভ্যাসের সঙ্গে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের সরাসরি যোগ রয়েছে। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সমস্যা ‘আলঝাইমার্স ডিজিজ’। এই স্নায়বিক ব্যাধি মস্তিষ্কের গুরুতর ক্ষতি করে, যার ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং ক্রমে জ্ঞানগম্যি হারিয়ে যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন,নাক খোঁটার ফলে নাকের অভ্যন্তরীণ কলার ক্ষতি হয়। ক্ল্যামিডিয়া নিউমোনিয়া নামে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া সহজেই মস্তিষ্কে প্রবেশ করার সুযোগ পায়। এই ব্যাকটেরিয়া মানুষকে সংক্রামিত করলে নিউমোনিয়া হতে পারে। ডিমেনশিয়ার রোগীদের অধিকাংশের মস্তিষ্কে এই বিশেষ ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে। একবার এই ব্যাকটেরিয়া মানব মস্তিষ্কে পৌঁছে গেলে, আলঝাইমার্স ডিজিজের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। নাক খুঁটলে নাসিকা গহ্বরের উপর যে পাতলা টিস্যু থাকে,তার ক্ষতি হলে এই স্নায়বিক সংক্রমণ আরও গুরুতর হয়। এই সংক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে অ্যামিলয়েড-বিটা প্রোটিন নিঃসৃত হয়। আলঝাইমার্স ডিজিজে আক্রান্তদের মস্তিষ্কেও এই প্রোটিন অত্যন্ত বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। বর্তমান বিশ্বে বহু প্রবীণ মানুষই আলঝাইমার্স রোগের শিকার। এই রোগের লক্ষণ, সাম্প্রতিক ঘটনা ভুলে যাওয়া,ভাষা হারিয়ে ফেলা,মানসিক বিভ্রান্তি, ইত্যাদি। যত দিন যায়, ততই এই লক্ষণগুলি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। আক্রান্তরা ক্রমে স্নান-খাওয়ার মতো দৈনন্দিন কাজকর্ম করতেও অসুবিধায় পড়েন। এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনও প্রতিরোধ বা প্রতিকার নেই। নিয়মিত ব্যায়াম,স্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া মাধ্যমে উপসর্গগুলির মোতকাবিলা করতে হবে।