Sundarban: বর্ষার ‘দৌড়’
বর্ষাকালে খুশিতে মন ভরে যায় সুন্দরবনের কৃষকদের। বছরভোর অপেক্ষার পর কৃষিকাজে জোর কদমে নেমে পড়ে সুন্দরবনের প্রান্তিক কৃষকরা।আর এই বর্ষার আগমন বার্তা হিসাবে জমির উৎকর্ষতা বাড়াতে শুরু হয়ে যায় ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করার কাজ। ঠিক সেই সময়ে সুন্দরবনের কৃষক সমাজ চাষের শুরুতে মেতে ওঠে গরু দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।
বর্ষাকালে খুশিতে মন ভরে যায় সুন্দরবনের কৃষকদের। বছরভোর অপেক্ষার পর কৃষিকাজে জোর কদমে নেমে পড়ে সুন্দরবনের প্রান্তিক কৃষকরা।আর এই বর্ষার আগমন বার্তা হিসাবে জমির উৎকর্ষতা বাড়াতে শুরু হয়ে যায় ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করার কাজ। ঠিক সেই সময়ে সুন্দরবনের কৃষক সমাজ চাষের শুরুতে মেতে ওঠে গরু দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। গ্রাম বাংলায় এই গরুর দৌড় মৈছাড়া নামেই বিশেষ পরিচিত।আগে প্রতিটি কৃষক দের বাড়ির গোয়ালে থাকতো গরু।সেই গরুর পীঠে লাঙ্গল লাগিয়ে জমিতে হাল দেওয়া হতো।বর্তমানে কালের বিবর্তনের ফলে গরুর বদলে এখন ট্রাক্টর দিয়েই জমি প্রস্তুত করা হয়।এতে যেমন অল্প সময়ে জমি প্রস্তুত করা যায়। তা সত্ত্বেও আজও সুন্দরবন অঞ্চলের জয়নগর, কুলতলি,ক্যানিং সহ বিভিন্ন জায়গায় গরুর দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।তবে আগের মতো প্রতিযোগিতার জন্য গরু পাওয়া যায় না।অপ্রতুল গরু নিয়ে এই গরু দৌড়ের (মৈছাড়া) আয়োজন করা হয়েছে জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের বকুলতলা থানা এলাকার হানারবাটি ও বাগমারি এলাকায়।তিন দিন ধরে চলবে এই প্রতিযোগিতা।জয়নগর সহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে নানান প্রজাতির শতাধিক গরু নিয়ে এসেছিলো প্রতিযোগিরা।তাদের জন্য ছিলো নগদ আর্থিক পুরস্কার।আর এই গরু দৌড় দেখতে বৃষ্টি মাথায় করে আসছেন বহু মানুষ।