Bansdroni Murder: কলকাতায় ফের উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু, বাঁশদ্রোণীতে মিলল তরুণীর ঝুলন্ত দেহ
গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত মদ্যপান করছিলেন পূজা ও তার বান্ধবী, খবর স্থানীয় সূত্রে। সেইসময় প্রেমিকের ফোন আসে, শুরু হয় বচসা। পরবর্তীতে নিজের ঘরে ঢুকে নাকি দরজা বন্ধ করে দেয় পূজা।
বাঁশদ্রোণী: বাঁশদ্রোণীতে তরুণীর রহস্যমৃত্যু। আবাসনের একতলায় উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ১৯ বছরের উঠতি মডেলের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মেলেনি কোনও সুইসাইড নোট। কী কারণে মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, বাঁশদ্রোণীর ইন্দু অ্যাপার্টমেন্টে থাকত বছর ঊনিশের পূজা সরকার। বান্ধবীর সঙ্গে থাকত পূজা। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত মদ্যপান করছিলেন পূজা ও তার বান্ধবী, খবর স্থানীয় সূত্রে। সেইসময় প্রেমিকের ফোন আসে, শুরু হয় বচসা। পরবর্তীতে নিজের ঘরে ঢুকে নাকি দরজা বন্ধ করে দেয় পূজা। বান্ধবীর সন্দেহ হওয়াতে দরজা ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে বান্ধবী। কোনও সাড়া না মেলায় বান্ধবী খবর দেয় পুলিশকে। পুলিশ আধিকারিকরা এসে দরজা ভেঙে উদ্ধার করেন তরুণীর দেহ। গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায় মডেলের দেহ।
ইতিমধ্যেই পূজা সরকারের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। কাকে কাকে ফোন করেছে পূজা, প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলার জেরেই কী আত্মহত্যা? তদন্তে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পূজার বান্ধবীকেও।
প্রায় ১ বছর আগে বাঁশদ্রোণীতে থাকতে শুরু করে পূজা সরকার, সঙ্গে ছিল তার বান্ধবী। বেশ কিছুদিন আগে আরও দুই বন্ধু এসে ছিল তাদের সঙ্গে, জানাচ্ছে স্থানীয়রাই। পরবর্তীতে সেই দু’জন অন্যত্র চলে গেলেও পূজা ও তার বান্ধবী আগের মতোই বাস করতে থাকে ফ্ল্যাটে। পূজার মৃত্যুর পিছনে কি হাত রয়েছে তার এই দুই বন্ধুর? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।