Jagadhatri Puja 2023: জয়রামবাটির মা সারদার জন্মভিটের জগদ্ধাত্রী

TV9 Bangla Digital | Edited By: Tapasi Dutta

Nov 21, 2023 | 5:56 PM

Jagadhatri Puja 2023: ১৮৭৭ সালে দেবীর আদেশে মা সারদার মা শ্যামসুন্দরী দেবী বাঁকুড়ার জয়রামবাটি গ্রামে নিজের বাড়িতে শুরু করেছিলেন জগদ্ধাত্রী পুজো।

Follow Us

১৮৭৭ সালে দেবীর আদেশে মা সারদার মা শ্যামসুন্দরী দেবী বাঁকুড়ার জয়রামবাটি গ্রামে নিজের বাড়িতে শুরু করেছিলেন জগদ্ধাত্রী পুজো। পরবর্তীতে মা সারদাও সেই পুজো করে এসেছেন। দীর্ঘ দেড়শো বছর পেরিয়েও খোদ মা সারদার বাড়ির সেই জগদ্ধাত্রী পুজো আজো অমলিন জয়রামবাটিতে। মা এর বাড়ির এই পুজো দেখতে আজ সকাল থেকে দেশ বিদেশের অসংখ্য ভক্ত পূণ্যার্থীর ঢল নেমেছে জয়রামবাটি গ্রামে। মহা সমারোহে চলছে দেবী আরাধনা।

কথিত আছে আজ থেকে দেড়শো বছর আগে বাঁকুড়ার জয়রামবাটি গ্রামে মহা ধুমধামে হত কালী পুজো। পুজোর পুরোহিত নব মুখুজ্যে গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকে কালী পুজোর জন্য নৈবেদ্য সংগ্রহ করতেন। কালী পুজোর জন্য এই নৈবেদ্য সারা বছর ধরে জমিয়ে রাখতেন পরিবারের মহিলারা। ১৮৭৭ সালে কোনো এক কারনে নব মুখুজ্যে মা সারদার মা শ্যামাসুন্দরী দেবীর জমিয়ে রাখা নৈবেদ্য গ্রহণ করেননি। একরাশ অপমান আর গ্লানি নিয়ে কালী পুজোর রাতে সাজানো নৈবেদ্যর ডালার সামনে নিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন শ্যামসুন্দরী দেবী। জনশ্রুতি সে সময় রক্তবর্ণা এক নারীমুর্তি অবির্ভূতা হন শ্যামাসুন্দরী দেবীর সামনে। শ্যামসুন্দরী দেবীকে স্বান্তনা দিয়ে সেই রক্তবর্ণা নারীমুর্তি বলে ওঠেন, “কাঁদছ কেন মেয়ে। তোমার নৈবেদ্য কালী পুজোর জন্য নেয়নি তো কী হয়েছে। আমি তোমার নৈবেদ্য গ্রহণ করব”। ধ্যামসুন্দরী দেবী বুঝতে পারেন এই রক্তবর্ণা নারীমুর্তি আর কেউ নন স্বয়ং জগদ্ধাত্রী। এরপরই নিজের বাড়িতেই জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করেন শ্যামসুন্দরী দেবী।

প্রথমে খুব ছোট আকারে আয়োজন করেন পুজোর। সময়ের সাথে সাথে সেই আয়োজন বাড়তে থাকে। শ্যামসুন্দরী দেবীর পরে মা সারদাও নিজের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাড়ির এই পুজো পরিচালনা করে এসেছেন। তাঁর মৃত্যুর পরও থামেনি সেই পুজো। মাতৃমন্দিরের উদ্যোগে মা সারদার জন্মভিটের সেই পুজো আজো চলে আসছে জয়রামবাটিতে। রীতি মেনে নবমী তিথিতেই সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী এই তিন তিথির পুজো হয় এখানে। মাতৃ মন্দিরের ভক্ত সন্যাসীরা এই পুজো করেন। চলতি বছরও মহা সমারোহে চলছে সেই মাতৃ আরাধনা। মা সারদার পবিত্র জন্মভিটের এই পুজো দেখতে দেশ বিদেশের বহু ভক্ত ও পূণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন জয়রামবাটিতে। ভক্ত সমাগমে উপচে পড়ছে জয়রামবাটি মাতৃ মন্দির।

১৮৭৭ সালে দেবীর আদেশে মা সারদার মা শ্যামসুন্দরী দেবী বাঁকুড়ার জয়রামবাটি গ্রামে নিজের বাড়িতে শুরু করেছিলেন জগদ্ধাত্রী পুজো। পরবর্তীতে মা সারদাও সেই পুজো করে এসেছেন। দীর্ঘ দেড়শো বছর পেরিয়েও খোদ মা সারদার বাড়ির সেই জগদ্ধাত্রী পুজো আজো অমলিন জয়রামবাটিতে। মা এর বাড়ির এই পুজো দেখতে আজ সকাল থেকে দেশ বিদেশের অসংখ্য ভক্ত পূণ্যার্থীর ঢল নেমেছে জয়রামবাটি গ্রামে। মহা সমারোহে চলছে দেবী আরাধনা।

কথিত আছে আজ থেকে দেড়শো বছর আগে বাঁকুড়ার জয়রামবাটি গ্রামে মহা ধুমধামে হত কালী পুজো। পুজোর পুরোহিত নব মুখুজ্যে গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকে কালী পুজোর জন্য নৈবেদ্য সংগ্রহ করতেন। কালী পুজোর জন্য এই নৈবেদ্য সারা বছর ধরে জমিয়ে রাখতেন পরিবারের মহিলারা। ১৮৭৭ সালে কোনো এক কারনে নব মুখুজ্যে মা সারদার মা শ্যামাসুন্দরী দেবীর জমিয়ে রাখা নৈবেদ্য গ্রহণ করেননি। একরাশ অপমান আর গ্লানি নিয়ে কালী পুজোর রাতে সাজানো নৈবেদ্যর ডালার সামনে নিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন শ্যামসুন্দরী দেবী। জনশ্রুতি সে সময় রক্তবর্ণা এক নারীমুর্তি অবির্ভূতা হন শ্যামাসুন্দরী দেবীর সামনে। শ্যামসুন্দরী দেবীকে স্বান্তনা দিয়ে সেই রক্তবর্ণা নারীমুর্তি বলে ওঠেন, “কাঁদছ কেন মেয়ে। তোমার নৈবেদ্য কালী পুজোর জন্য নেয়নি তো কী হয়েছে। আমি তোমার নৈবেদ্য গ্রহণ করব”। ধ্যামসুন্দরী দেবী বুঝতে পারেন এই রক্তবর্ণা নারীমুর্তি আর কেউ নন স্বয়ং জগদ্ধাত্রী। এরপরই নিজের বাড়িতেই জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করেন শ্যামসুন্দরী দেবী।

প্রথমে খুব ছোট আকারে আয়োজন করেন পুজোর। সময়ের সাথে সাথে সেই আয়োজন বাড়তে থাকে। শ্যামসুন্দরী দেবীর পরে মা সারদাও নিজের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাড়ির এই পুজো পরিচালনা করে এসেছেন। তাঁর মৃত্যুর পরও থামেনি সেই পুজো। মাতৃমন্দিরের উদ্যোগে মা সারদার জন্মভিটের সেই পুজো আজো চলে আসছে জয়রামবাটিতে। রীতি মেনে নবমী তিথিতেই সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী এই তিন তিথির পুজো হয় এখানে। মাতৃ মন্দিরের ভক্ত সন্যাসীরা এই পুজো করেন। চলতি বছরও মহা সমারোহে চলছে সেই মাতৃ আরাধনা। মা সারদার পবিত্র জন্মভিটের এই পুজো দেখতে দেশ বিদেশের বহু ভক্ত ও পূণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন জয়রামবাটিতে। ভক্ত সমাগমে উপচে পড়ছে জয়রামবাটি মাতৃ মন্দির।

Next Video