Kali Controversy: নিরাকার ব্রহ্মে আদর্শিত বিশ্বভারতীতে কালী পুজো নিয়ে লেকচার, ফের বিতর্ক

Jul 23, 2022 | 2:54 PM

"কালী নিয়ে সেমিনার হতেই পারে, তবে এখন কেন? বিশ্বভারতীতে এই ধরনের বিষয় নিয়ে কখনও কোনও আলোচনা হয়নি। উপাচার্য দলীয় চাটুকারিতা থেকেই এসব করছেন", বলছেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি

Follow Us

বীরভূম: পোস্টারে কালীর মুখে সিগারেট! প্রতিবাদে রে রে করে উঠেছিল সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীর একাংশ। যার প্রতিবাদে টুইট করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পরে বাংলায় সে নিয়ে জলঘোলাও কম হয়নি। সাংসদের পাশে দাঁড়ায়নি দলও। বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের মাঝেই মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বাংলায় ঠিকভাবে কালী পুজো হচ্ছে কি না, জিজ্ঞাসা ছিল তাঁর। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নতুন করে ইন্ধন জোগালেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। নিরাকার ব্রহ্মে বিশ্বাসী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীতে কালীপুজো নিয়ে লেকচার সিরিজের আয়োজন করছেন বিদ্যুৎবাবু। যার তীব্র বিরোধিতায় আশ্রমিকরা। নিন্দা শিক্ষামহলেও।

ইতিহাসবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ির বক্তব্য, “রবীন্দ্রনাথ এই বিষয় নিয়ে ভাবেননি। এখনকার উপাচার্য এবং শিক্ষকরা ভাবছেন। কালী নিয়ে সেমিনার হতেই পারে, তবে এখন কেন? বিশ্বভারতীতে এই ধরনের বিষয় নিয়ে কখনও কোনও আলোচনা হয়নি। উপাচার্য দলীয় চাটুকারিতা থেকেই এসব করছেন।” বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ‘অন্যায় করছে’, নিন্দায় সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায়ও।

অন্যদিকে বিশ্বভারতীর উপচার্যের পাশে দাঁড়িয়ে সমালোচকদের কার্যত একহাত নিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর বক্তব্য, “মা কালীর পুজো, সেটা নিয়েও বিতর্কিত। কবিগুরুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রবীন্দ্রনাথকে আর অপমান না করাই ভাল। মা কালি পাঠা খাবে, বুড়ো শিব ডুগডুগি বাজিয়ে নৃত্য করবে, এটাই ভারতের সংস্কৃতি। এই দেশের সংস্কৃতির বিরোধিতা যারা করছেন, তাঁরা দেশকে টুকরো করার চেষ্টা করছেন। মা কালীর বিপক্ষ যারা, তাঁরা মুণ্ডমালা হয়ে মায়ের গলায় ঝুলবে।”

 

বীরভূম: পোস্টারে কালীর মুখে সিগারেট! প্রতিবাদে রে রে করে উঠেছিল সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীর একাংশ। যার প্রতিবাদে টুইট করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পরে বাংলায় সে নিয়ে জলঘোলাও কম হয়নি। সাংসদের পাশে দাঁড়ায়নি দলও। বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের মাঝেই মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বাংলায় ঠিকভাবে কালী পুজো হচ্ছে কি না, জিজ্ঞাসা ছিল তাঁর। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নতুন করে ইন্ধন জোগালেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। নিরাকার ব্রহ্মে বিশ্বাসী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীতে কালীপুজো নিয়ে লেকচার সিরিজের আয়োজন করছেন বিদ্যুৎবাবু। যার তীব্র বিরোধিতায় আশ্রমিকরা। নিন্দা শিক্ষামহলেও।

ইতিহাসবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ির বক্তব্য, “রবীন্দ্রনাথ এই বিষয় নিয়ে ভাবেননি। এখনকার উপাচার্য এবং শিক্ষকরা ভাবছেন। কালী নিয়ে সেমিনার হতেই পারে, তবে এখন কেন? বিশ্বভারতীতে এই ধরনের বিষয় নিয়ে কখনও কোনও আলোচনা হয়নি। উপাচার্য দলীয় চাটুকারিতা থেকেই এসব করছেন।” বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ‘অন্যায় করছে’, নিন্দায় সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায়ও।

অন্যদিকে বিশ্বভারতীর উপচার্যের পাশে দাঁড়িয়ে সমালোচকদের কার্যত একহাত নিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর বক্তব্য, “মা কালীর পুজো, সেটা নিয়েও বিতর্কিত। কবিগুরুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রবীন্দ্রনাথকে আর অপমান না করাই ভাল। মা কালি পাঠা খাবে, বুড়ো শিব ডুগডুগি বাজিয়ে নৃত্য করবে, এটাই ভারতের সংস্কৃতি। এই দেশের সংস্কৃতির বিরোধিতা যারা করছেন, তাঁরা দেশকে টুকরো করার চেষ্টা করছেন। মা কালীর বিপক্ষ যারা, তাঁরা মুণ্ডমালা হয়ে মায়ের গলায় ঝুলবে।”

 

Next Video