Kim Jong Un: কিমের বাড়বাড়ন্তে কতটা চাপ ভারতের?

rahul Sadhukhan |

Jan 03, 2024 | 11:46 AM

চিনের মদতে বাড়ছে কিম জংয়ের দাপট। তৈরি করছেন গুপ্তচর স্যাটেল্যাইট। সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্রের উপকরণ। হুঙ্কার দিচ্ছেন নিয়মিত। ভারতকে চাপে রাখতে চিনের অস্ত্র কী তবে কিম?

 

২০২৪ সাল। নতুন বছর নতুন নতুন রিজিলিউশন। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষনেতা কিম জং উনের রিজিলিউশন অন্য। উত্তর কোরিয়াকে সামরিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে এবার তিনি বছরভর মন দিতে চলেছেন গুপ্তচর উপগ্রহ ও আরও পারমানিবক অস্ত্রের উপকরণ উৎপাদনে। যা রীতিমত চিন্তায় ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। এমনিতেই আগে কিমের একের পর এক সিদ্ধান্তে নড়েচড়ে বসেছে গোটা বিশ্ব। উত্তর কোরিয়ার মত একটা ছোট দেশ, এই দাপট দেখাচ্ছে কী করে? ২০২৪ সালে কী এমন হবে,. যার জন্য নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়াতে এরকম খুলে খেলতে চাইছে কিম?কারণ,ওয়ার্কার্স পার্টির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কিমের একের পর এক মন্তব্য। যা যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ।

 

এর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন-কিম মনে প্রাণে চাইছেন বাইডেনের অপসারণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প আসুন হোয়াইটহাউজে। তাহলে তাঁদের সামরিক শক্তির প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনা আরও মসৃণ হবে। শনিবার শেষ হওয়ার ৫দিনের বৈঠকে কিম বলেন,

 

কিমের মূলত লক্ষ্য দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাপট। যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার সম্প্রসারণ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন বোমারু বিমান এবং পারমাণবিকঅস্ত্র সম্বলিত সাবমেরিনের মত শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্র অস্থায়ীভাবে জমা হচ্ছে। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়ার। তাই তো নিজেদের শক্তি বাড়াতে আঁটঘাঁট বেঁধে নামছে উত্তর কোরিয়া। কী পরিকল্পনা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার?

দক্ষিণ কোরিয়া অনেকদিন ধরেই সতর্কতা দিতে শুরু করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার সহায়তায় উত্তর কোরিয়া ২১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো তাদের গুপ্তচর উপগ্রহটি কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন ওনসিক গত নভেম্বরে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন,

উত্তর কোরিয়া যেভাবে নিজেদের ক্ষমতায়নের জন্য চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে, তাতে চিন্তা বাড়বে ভারতেরও। কিমের ক্ষমতার খর্ব করার জন্য এবার যে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র উঠে পড়ে লাগবে অদূর ভবিষ্যতে, তার যেন ইঙ্গিত মিলছে। কিমের মত নেতার এই বাড়বাড়ন্ত আখেরে বিশ্বের পক্ষে ক্ষতিকর। যা দমাতে উদ্যোগী হওয়ার সম্ভাবণা বাড়ছে বিরোধী রাষ্ট্রগুলির।