Dengue in Asansol: মশা মারতে কামান দাগার নির্দেশ!

TV9 Bangla Digital | Edited By: Tapasi Dutta

Jul 25, 2023 | 7:27 PM

Dengue Precautions: জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ শেখ ইউনুস বলেন, লার্ভা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। পতঙ্গবিদরা নমুনা সংগ্রহ করছেন। আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। শারীরিক অবস্থার খবর নিচ্ছেন। মানুষকে সতর্ক করছেন।

জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। জেলা প্রশাসনের দাবি ডেঙ্গি প্রতিরোধে তৎপরতা বাড়িয়েছে তাঁরা। বিশেষ করে দুর্গাপুরের পলাশডিহাতে মিলেছে ডেঙ্গির ক্লাসটার। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মতে জুলাই এর ২০ তারিখের পর দুর্গাপুরে ডেঙ্গির সংখ্যা ৫০ ছাপিয়ে গেছে। গত জানুয়ারি থেকে হিসেব করলে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট ডেঙ্গি ধরা পড়েছে ১৩০ টি। আসানসোল সাব ডিভিশনে সেই সংখ্যা মাত্র ২০। তাই সতর্কতা থাকলেও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নেই।

জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ শেখ ইউনুস বলেন, লার্ভা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। পতঙ্গবিদরা নমুনা সংগ্রহ করছেন। আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। শারীরিক অবস্থার খবর নিচ্ছেন। মানুষকে সতর্ক করছেন। আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরনিগমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিয়মিত সাফাই অভিযানের। বিশেষ করে পানাগড়ের মত এলাকায় গ্যারেজ বা টায়ারে জমা জলে নজর রাখতে। অ্যাডাল্ট মশা রোধে কামান দাগার নির্দেশ এসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে। জেলা স্বাস্থ্য অধিকারিকের দাবি রক্তের নমুনা সংগ্রহের জন্য স্পেশাল ক্যাম্প বা শিবির করা হয়েছে দুর্গাপুরে।

এদিকে জুলাইয়ের সামান্য বৃষ্টিতেই দেখা দিল জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ। সামান্য বৃষ্টিতেই পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় জমা জলের ছবি ফুটে উঠেছে শহর জুড়ে। ড্রেনে জমা জলে দেখা যাচ্ছে মশার লার্ভা। শহরের গ্যারেজে টায়ারে টায়ারে দেখা মিলল জমা জল। অথচ বাস্তবে পুরপ্রশাসনের তৎপরতার দেখা মেলেনি বলেই অভিযোগ। এদিকে ডেঙ্গি ও ডায়রিয়ার প্রকোপ থেকে নাগরিকদের রক্ষা করতে নিকাশি খুব জরুরি বলে মনে করছেন সবাই।

অথচ এই মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রীষ্মের শুরু থেকে নিকাশি ও বর্জ্য সাফাইয়ের উপরে বাড়তি নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পুরস্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত বছর জুনমাসে আসানসোল পুরসভা এলাকায় প্রায় ১৯ টি ওয়ার্ডকে সংবেদনশীল বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পুরসভার প্রায় ১০০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে একাধিক দলে ভাগ করে বাড়ি বাড়ি পাঠানো হয়েছিল। কেউ জ্বরে আক্রান্ত কিনা সেই তথ্য সংগ্রহের সঙ্গেসঙ্গে বাড়িতে জল জমতে না দেওয়া ও সাফাই নিকাশি বিষয়ে সচেতন করা হয়েছিল। ডেঙ্গি প্রতিরোধ কর্মসূচী সংক্রান্ত বিষয়ে গাফিলতির অভিযোগ থাকায় একজন চিকিতসক ও দুজন স্বাস্থ্যকর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরানো হয়েছিল। এবারেও কিন্তু একই ঘটনা ঘটলো। পুরপ্রশাসন তৎপর হওয়ার আগেই ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। যদিও আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি পুরপ্রশাসন ডেঙ্গি প্রতিরোধে তার কাজ করছে। সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। তবে গত বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গি ধরা পড়েছিল ২৬০ জনের। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী জেলায় এখন যে ডেঙ্গির প্রকোপ রয়েছে তা উদ্বেগজনক নয়।