Basirhat Love Story: প্রেমিকের ঘর দখল প্রেমিকার!
ভালোবাসার টানে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ১৫ দিনের অবস্থান, বিয়ে মানতে নারাজ পরিবার, প্রেমিকের ঘর দখল করল প্রেমিকা, পলাতক প্রেমিক ও প্রেমিকের বাবা।বসিরহাটের মাটিয়া থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ নেওড়া গ্রামের ঘটনা।
ভালোবাসার টানে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ১৫ দিনের অবস্থান, বিয়ে মানতে নারাজ পরিবার, প্রেমিকের ঘর দখল করল প্রেমিকা, পলাতক প্রেমিক ও প্রেমিকের বাবা। বসিরহাটের মাটিয়া থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ নেওড়া গ্রামের ঘটনা। বছর ২২ এর আলিফ মন্ডল পেশায় দর্জি। তার সঙ্গে ফোনে আলাপ হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার বানমোড়া গ্রামের বছর ২৫ এর সাবিনা খাতুনের। যুবতী সাবিনার অভিযোগ, দীর্ঘ ৬ মাস মেলামেশার পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর আলিফ ও সাবিনা পরিবারের অমতে বসিরহাটের একটি জায়গায় সামাজিক ভাবে বিয়ে করে। সেখানে থেকেই বিপত্তি শুরু। ছেলে বৌমাকে মানতে নারাজ মন্ডল পরিবার। ছেলের বৌ বারবার আসলেও তাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি ভয়ও দেখানো হয়। শেষ ১৫ দিন প্রেমিকের বাড়ির সামনে রোদ ও ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঠায় বসে থাকে প্রেমিকা। এই দেখে গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে একটি সালিশি সভা করলেও কোন সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। যুবতী বাড়িতে আসায় ঘরে তোলার ভয়েতে আলিফ ও তার বাবা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত বাড়ি থেকে ফেরার তারা। গ্রামবাসীদের কাছে তিনি বারবার দাবি করেন আলিফ তাকে বিয়ে করেছেন, অথচ তাকে মানতে চাইছে না শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি ঘরে ঢুকতে দিচ্ছে না। তারপর প্রেমিকা বাধ্য হয়ে প্রেমিকের ঘর দখল করে নেয়। এরপরে চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। কিন্তু বধূর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কোনমতেই স্বামীর ঘর ছেড়ে যাবে না। শাশুড়ি মেরুনা বিবি বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘরের মধ্যে তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে, খেতে দেওয়া তো দূরের কথা এমনকি শৌচালয় যেতে দিচ্ছে না। পাশাপাশি বধূর গর্ভে দু’মাসের একটি ভ্রুণ তৈরি হয়েছিল সেটাও পরিকল্পনা করে স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি হত্যা করতে বাধ্য করিয়েছে। এই খবর জানতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। ওই বধূ যাতে দু’বেলা খেতে পারে তার জন্য গ্রামবাসীরা থালা-বাসন ও চাল-ডাল রান্না করার গ্যাস কিনে দিয়েছেন। গ্রামবাসীরা চাইছেন ছেলে যখন বিয়ে করেছে মহিলাকে তারা ঘরে নিক শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বামী-স্ত্রী সংসার করুক। কিন্তু শাশুড়ি এই বিয়ে মানতে নারাজ। কারণ তিনি বলেন, “এই বিয়ের কোন প্রমাণ নেই। সম্পূর্ণ অভিযোগ ভিত্তিহীন। ছেলের থেকে মহিলার বয়স বেশি। এর আগেও ওই মহিলার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। টাকা পয়সা সোনা গয়না ওই মহিলা ছেলেকে দিয়েছে সেটা মিথ্যে কথা, এমনকি গর্ভের ভ্রূণ হত্যা হয়েছে তার কোন প্রমাণ নেই। আমরা এ বিয়ে মেনে নেব না।”