Maldives News: কেন তুরস্কের থেকে ড্রোন কিনল মলদ্বীপ?
ভারতের হাত ছেড়ে এবার সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে তুরস্কের হাত ধরতে চলল মলদ্বীপ। ইতিমধ্যেই তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে মলদ্বীপ সরকার। কেন মলদ্বীপের সঙ্গে তুরস্কের প্রীতি?
ক্ষমতায় আসার আগে থেকে তিনি ভারত বিরোধী ও চিনপ্রেমী-তা নির্বাচনের আগে থেকেই প্রমাণ করে চলেছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। ক্ষমতায় আসার পর মলদ্বীপে থাকা ভারতের গুটিকয়েক সেনা সরানোর জন্য নয়াদিল্লিকে বার্তা দিয়েছে মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গেই এই আবহে করেছে বৈঠক। আর ভারত বিরোধিতা চরম পর্যায়ে পৌঁছায় যখন প্রধানমন্ত্র্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে একের পর এক কুমন্তব্য শুরু করে মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। পাল্টা ভারতীয়রা মলদ্বীপকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের হাত ছেড়ে এবার সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে তুরস্কের হাত ধরতে চলল মলদ্বীপ। এবার তুরস্কের থেকে ড্রোন কিনতে চলেছে মলদ্বীপ।
কেন তুরস্কের থেকে ড্রোন কিনল মলদ্বীপ? সমুদ্র তীরবর্তী এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে এবার তুরস্কের ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালাতে চায় মলদ্বীপ।মলদ্বীপের তীরবর্তী সমুদ্রের জলে নজরদারি করতে তুরস্কের সংস্থার থেকে ড্রোন কেনা। মলদ্বীপ জাতীয় ডিফেন্স ফোর্স এই ড্রোন কেনা বাবদ খরচ করছে ৩৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
তুরস্কের সঙ্গে কবে চুক্তি করেছে জানেন? যেদিন ভারতকে মুইজ্জু বলেন, ১৫ই মার্চের মধ্য়ে সেনা প্রত্যাখ্যানের কথা, ঠিক তার কয়েকদিন পরেই এই চুক্তি।তবে ভারত হাত গুটিয়ে বসে নেই। নয়াদিল্লির বডি ল্যাঙ্গোয়েজ, মলদ্বীপ কে ডেডলাইন ঘোষণা করার? সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসেই সেনা তুলে নেবে ভারত। আর অপেক্ষা করতেই রাজি নয়। মলদ্বীপের সঙ্গে তীব্র বৈরিতার সম্পর্ক কিন্তু ভারতের ছিল না।
আবদুল্লা ইয়ামিনের চিন প্রীতি থাকলেও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক কখনও নষ্ট করেনি মলদ্বীপ। কিন্তু মুইজ্জু সব সীমা যেন অতিক্রম করে ফেলেছে। তুরস্কের সামরিক শক্তি দিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠছে।