জল-জঙ্গল-পাহাড়-ঝরনায় ঘেরা মেঘালয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। কংথং গ্রামের মানুষ শিস দিয়ে ডাকেন একে অপরকে। ভাবতে অবাক লাগছে? এই গ্রামের অস্তিত্ব রয়েছে মেঘালয়ে। পর্যটকেরা বলেন হুইসলিং ভিলেজ অর্থাৎ ‘শিসের গ্রাম’। শিলং থেকে প্রায় ৫৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কংথং। নবজাতকের জন্মের পর মা যে ঘুমপারানিয়া গান গেয়ে ওঠেন,সেটাই হয়ে যায় শিশুর নাম। সেই সুরই হয়ে ওঠে নবজাতকের পরিচয়। প্রতিটা মায়ের গলা সুর আলাদা হয়। তাই সেই সুর চিনতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। যদিও কংথং গ্রামের প্রতিটা মানুষের দুটো করে নাম রয়েছে। একটা এই শিসের সুর। আর একটা খাতায়-কলমে ভাল নাম। এক্ষেত্রে শিসের সুরকে ডাকনাম বললেও ভুল হবে না। আবার এই শিসের সুরও দু’প্রকার। একটা সংক্ষিপ্ত খুব বেশি হলে ১০ সেকেন্ড। আর একটা দীর্ঘ ৩০ সেকেন্ডের সুর। সাধারণত বনে-জঙ্গলে এবং পাহাড়ের এই শিসের সুর ব্যবহার করা হয় একে অপরে ডাকতে। বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে বেশ জনপ্রিয় এই হুইসলিং ভিলেজ। মেঘালয়ের অন্যান্য গ্রামের মতোই হুইসলিং ভিলেজও মেঘে ঢাকা। কিন্তু সঙ্গে একজন গাইড নেওয়া ভাল। তিনি বুঝিয়ে দিতে পারবেন শিসের সুর। কংথং যাওয়ার সেরা সময় অক্টোবর থেকে এপ্রিল। শিলং থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা পৌঁছে যেতে পারেন হুইসলিং ভিলেজ। ঘণ্টা তিনেক সময় লাগবে। এই হুইসলিং ভিলেজে রাত্রিযাপনের জন্য ট্রাভেলার্স নেস্ট এবং ব্যাম্বু হাট রয়েছে।