Ghatal ICDS News: মাথায় ঝুলছে চাল, নীচে রান্না মিড-ডে-মিলের

Apr 29, 2023 | 2:20 PM

ICDS News: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দুয়ারে অ্যাডবেস্টারের চালা ভেঙে ঝুলছে, তার নিচেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে মিড ডে মিলের রান্না,বসার জায়গা না থাকায় গ্রামের আটচালায় চলে শিশুদের পড়াশোনা। নেই বিদ্যুৎ সংযোগ পানীয়জলের ব্যবস্থা, এমনই বেহাল অবস্থা দাসপুরের ৩৪ নং বিষ্ণুপুর তালন্দিমা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের,হুঁশ নেই প্রশাসনের।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দুয়ারে অ্যাডবেস্টারের চালা ভেঙে ঝুলছে, তার নিচেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে মিড ডে মিলের রান্না, বসার জায়গা না থাকায় গ্রামের আটচালায় চলে শিশুদের পড়াশোনা।নেই বিদ্যুৎ সংযোগ পানীয়জলের ব্যবস্থা, এমনই বেহাল অবস্থা দাসপুরের ৩৪ নং বিষ্ণুপুর তালন্দিমা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের,হুঁশ নেই প্রশাসনের।

এমনই বেহাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছবি দেখে আঁতকে উঠার মতো অবস্থা অভিভাবক থেকে এলাকাবাসীর। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-২ ব্লকের সাহাচক গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৪ নং বিষ্ণুপুর তালন্দিমা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। জানা যায়, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গর্ভবতী মহিলা সহ শিশু মিলিয়ে মোট ১২২ জনের মিডডে মিলের রান্না হয়, এদের মধ্যে গর্ভবতী মহিলা ২২ জন, এবং কেন্দ্রে পড়াশোনা করে ১০০ জন শিশু। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। কেন্দ্রটির ভবন পাকার তার দুয়ারে চালার ছাউনি অ্যাডবেস্টরের। ভাঙাচোরা সেই দুয়ারের চালার একাংশ ভেঙে ঝুলছে, চারিদিক কাঠের ঝিটে বেড়া দিয়ে ঘেরা। তারই নিচে ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন চলছে মিডডে মিলের রান্না, যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। শিশুদের খাবারে যে কোনো রকম পোকামাকড় পড়বে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।আর কেন্দ্রের এহেন বেহালদশার কারণে ওই ভবনের ভিতরে শিশুদের বসানোর ঝুঁকি নিতে সাহস পাইনি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকা।তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের একটি আটচালায় কম্বল পেতে চলে শিশুদের পড়াশোনা। এত গেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভবনের বেহালদশার কাহিনি।বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে পানীয় জলের কোনো ব্যবস্থা নেই ওই কেন্দ্রে। মিডডে মিলের রান্নার জন্য দুর থেকে পানীয় জল এনে রান্না করতে হয় রাঁধুনিকে। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে এলাকার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি কিন্তু কোনো হুঁশ নেই প্রশাসনের এমনই অভিযোগ অভিভাবক থেকে এলাকাবাসীর।দ্রুত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে পদক্ষেপ করুক প্রশাসন চাইছেন অভিভাবকরা।এবিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা শ্রাবন্তী চাকি, ক্যামেরায় সামনে কিছু বলেননি কারণ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ রয়েছে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া নিয়ে, এমনটাই জানান তিনি। এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কার্তিক মন্ডল অবশ্য জানান, আগে এই কেন্দ্রটির চারিদিকে জঙ্গল ঘেরা ছিল আমি আসার পর দুয়ারে চালা সহ মেরামতের কাজ করায়।তবে আবারও একটি এস্টিমেট করে জেলায় পাঠানো হয়েছে,সরকারি টাকা আসতে দেরি হচ্ছে তা চলে এলেই পানীয় জল থেকে বেশকিছু পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করা হবে।”গ্রামের এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহালদশায় ভুগতে হচ্ছে শিশু থেকে কেন্দ্রের সহায়িকা কর্মীদের,বৃষ্টি হলে আরও হয়রানির শিকার হতে হয় তাই দ্রুত এই কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করা হোক চাইছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও। এখন দেখার কবে হাল ফিরে দাসপুরের এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। এ বিষয়ে দাসপুর দু’নম্বর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাহুর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সিডিপিওর কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে তারপরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হবে।

Published on: Apr 29, 2023 02:20 PM