Mizoram Tourism: দেশে সবচেয়ে সুখী এই রাজ্য!
Mizoram: উত্তর পূর্ব ভারতের সেভেন সিস্টার্সের এক রাজ্য মিজোরাম। সাত বোনের মধ্যেই শুধু নয় সারা দেশের সেরা সুখী রাজ্য এখন মিজোরাম। ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট গুরুগ্রামের একটি গবেষণার নিরিখে মিজো রাজ্যের মুকুটে এই পালক।
উত্তর পূর্ব ভারতের সেভেন সিস্টার্সের এক রাজ্য মিজোরাম। সাত বোনের মধ্যেই শুধু নয় সারা দেশের সেরা সুখী রাজ্য এখন মিজোরাম। ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট গুরুগ্রামের একটি গবেষণার নিরিখে মিজো রাজ্যের মুকুটে এই পালক । সুখের সূচক নির্ধারিত হয়েছে ৬টি মাপকাঠিতে। পেশাগত, সামাজিক, পারিবারিক সমস্যা কাটিয়ে উন্নতির শিখরে এই রাজ্য। জনহিতৈষী প্রকল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ অধিকারেরে সমতার ক্ষেত্রেও এই রাজ্য পূরণ করেছে মাপকাঠি। অতিমারি পরবর্তী সময়ে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নেও এই রাজ্য এগিয়ে। শিক্ষায় মিজোরাম দেশে দ্বিতীয় স্থানে। এই রাজ্যে সবাই স্বাক্ষর। শিক্ষার হার ১০০%। কঠিন আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতেও রাজ্যের পড়ুয়ারা নিজেদের মেলে ধরতে পারে। অতীতে মিজোরামের লংটলাই ছিল অনগ্রসর একটি জেলা। এখন উন্নয়নের পুরোধা এই লংটলাই। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার ছিল মারাত্মক। সেই শিশুরাই এখন স্কুলে স্কুলে তদারকি করে ‘নিউট্রেশন গার্ডেন’। নিজের বিদ্যালয়ই হয়ে উঠেছে নিজের খামার। শিক্ষকদের নজরদারিতে শিশুরা প্রতি সপ্তাহে অন্তত একঘণ্টা করে কাজ করে ‘পুষ্টি বাগানে’। চালু হয়েছে ‘আমার স্কুল আমার খামার’ প্রকল্প কমেছে শিশুদের অপুষ্টিতে ভোগা। ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন। লিঙ্গ বৈষম্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা বা অপরাধের ঘটনাও বিরল এ রাজ্যে । মিজো সমাজে বর্ণবৈষম্য নেই। মিজো যুব সম্প্রদায়ে সামাজিক চাপ নেই বললেই চলে। পড়ুয়াদের সঙ্গে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্য উজাড় করে ঢেলে দিয়েছে এই রাজ্যে। সুন্দর পরিবেশের প্রভাব পড়ে তাই মানুষের মনে। আত্মবিশ্বাসী মিজোরা নিয়মানুবর্তী। পর্যটন এই রাজ্যের বাসিন্দাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে বহুদিন। তার সঙ্গে যোগ হল সেরা সুখী রাজ্যের তকমা। যাবেন নাকি এই সুখ পাখির দেশে?