Purba Medinipur News: মুখ্যমন্ত্রীর মতো ‘এক ডাকে প্রধান’
এবার অনন্য ভূমিকায় পঞ্চায়েত প্রধান, চালু করলেন দুই নতুন প্রকল্প।প্রধান হল একটি প্রশাসনিক পদ। শুধু পদে বসলেই হয় না, প্রধান হিসেবে মানুষেরা যে কারণে আপনাকে নির্বাচিত করেছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা একজন প্রধানের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
এবার অনন্য ভূমিকায় পঞ্চায়েত প্রধান, চালু করলেন দুই নতুন প্রকল্প।প্রধান হল একটি প্রশাসনিক পদ। শুধু পদে বসলেই হয় না, প্রধান হিসেবে মানুষেরা যে কারণে আপনাকে নির্বাচিত করেছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা একজন প্রধানের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যেখানে বর্তমান সময়ে নানা বিষয়ে বিরোধীরা তৃনমূল সরকারের তীব্র নিন্দা করছেন । সেখানে এই দল থেকেই নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধানের ভূমিকায় ইতিবাচক বলছেন এলাকাবাসী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের সিদ্ধা ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েত থেকে নবনির্বাচিত প্রধান হামিদুল খান এবার অন্য ভূমিকায়। প্রথমবার প্রধান নির্বাচিত হয়ে তিনি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকার মানুষদের খুব কাছের হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টায়। কখনো কোদাল হাতে মাথায় গামছা বেঁধে ঘাস পরিষ্কার করছেন। কখনো দুয়ারে সরকার এ মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়ে মানুষকে নানা সুবিধা দেওয়া থেকে মানুষের অভাব অভিযোগ শোনা সবেতেই অগ্রণী ভূমিকায় প্রধান।তবে প্রধানের এই ভূমিকায় খুশি এলাকাবাসী।তারা জানিয়েছেন,এভাবে কখনো আমারা হয়তো কোনো প্রধানকে দেখিনি। প্রধান কে এত কাছে পেয়ে নানা অভাব অভিযোগ ও তুলে ধরেন এলাকার মানুষজন। বার্ধক্য ভাতা, লক্ষীর ভান্ডার,রেশন , ইন্দিরা আবাস যোজনা সহ নানা বিষয় নিয়ে তারা অভিযোগ করেন এবং তা দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দেন প্রধান।শুধু তাই নয় প্রধানের উদ্যোগে এই পঞ্চায়েত এলাকায় দুটি নতুন প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধান।গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হামিদুল খান তিনি জানান, এক ডাকে প্রধান” প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা বুথে বুথে প্রতিটি বাড়িতে যাচ্ছি এবং একটি কাগজ প্রদান করছি ,যাতে প্রধানের নাম ও ফোন নম্বর রয়েছে । যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে মানুষের আমাকে প্রয়োজন হলে জানাতে পারেন এবং আমি চেষ্টা করবো মানুষের পাশে থাকার।এছাড়াও ” দুয়ারে প্রধান” প্রকল্প এর মাধ্যমে ও তিনি জানিয়েছেন, প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন তিনি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসবেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ নানা বিষয়ে মানূষকে সুবিধা দেবেন। তিনি আরো জানান, এলাকায় অনেক অসুস্থ ও বয়স্ক মানুষ আছেন, যাদের পক্ষে অফিসে যাওয়া সম্ভব নয়। তাদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ।এছাড়াও প্রধান পঞ্চায়েত এর সমস্ত সদস্যদেরও এলাকার মানুষদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। বুথে বুথে গিয়ে মানুষের সমস্যা জানা ও তা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা ও নিতে বলেছেন।এছাড়াও প্রধান টোটোয় চড়ে এলাকার মানুষজনদের নানা বিষয়ে বার্তা দেন, তিনি জানান সামনেই নানা উৎসব আসছে , সেই বিষয়কে মাথায় রেখে এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং নিজের প্রভাব খাটিয়ে রাস্তার ওপর কেউ বালি ,ইট রাখবেন না। রোগমুক্ত থাকার জন্যও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এলাকাকে।এর মাধ্যমে তিনি এলাকার পূজো কমিটি,জলসা কমিটি সহ মানুষদের এলাকা , রাস্তাঘাট পরিস্কার এর কাজে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।এর পাশাপাশি তিনি জানান,কেউ এই কাজে বাধার সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও বিজেপি পুরো বিষয়টিকে সস্তার ও চটকদারী রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবব্রত পট্টনায়ক, তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছিলেন এক ফোনে আর এই প্রধান চালু করলেন এক ডাকে আসলে এগুলো সস্তায় প্রচার পাওয়ায় একটা উপায়। আগে কাজ করুক তার পর বলুক। হাজার কন্ঠ মুখ্যমন্ত্রী কে ডেকে পায় না আর ফোন ও ধরে না। কাজ দেখলে মানুষ বলবে প্রচারে নয়।”