Panihati Danda Mahotsav: দণ্ড মহোৎসবে চরম বিশৃঙ্খলায় মৃত ৩, প্রশাসনের দাবি ‘পুণ্যার্থীরা সান স্ট্রোকের শিকার’

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৌরভ পাল

Jun 14, 2022 | 12:56 PM

মাত্রাতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে ২-৩ জন রীতিমতো অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে বলরাম স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সান স্ট্রোকেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। অসুস্থ হয়েছেন ৫০ অধিক বেশি মানুষ।

Follow Us

পানিহাটি: পানিহাটিতে দণ্ড মহোৎসবে চরম বিশৃঙ্খলা। যার জেরে রবিবার সকালে বেঘোরে প্রাণ হারালেন ৩ দর্শনার্থী। মৃত্যুর খবর শুনে চাঞ্চল্য ছড়ায় মেলা প্রাঙ্গণে। ফলত তাড়াহুড়োর মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও অনেক দর্শনার্থী। অসুস্থদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, পানিহাটির মহোৎসব তলা ঘাটে দই-চিঁড়ে উৎসব চলছিল। কথিত আছে, মহোৎসব তলা ঘাটে এসেই দই-চিঁড়ে খেয়েছিলেন শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু। সেই বিষয়টিকে স্মরণে রেখেই পালিত হয় দণ্ড মহোৎসব। প্রতি বছরের মতো এবছরও অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল পানিহাটি পৌরসভা। ৫০০ বছরের পুরোনো এই দই-চিঁড়ে উৎসব কোভিড মহামারির কারণে গত দু’বছর বন্ধ ছিল। এবছর ৫০৬ বছরে পড়েছে এই উৎসব। শনিবার থেকেই ভক্ত সমাগম হয়েছিল পানিহাটি মহোৎসব তলা ঘাটে। রবিবার সেই ভিড় লাগাম ছাড়ায়। পাশাপাশি জেলা থেকেও বহু দর্শনার্থী এসে ছিলেন এই মেলায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে। উদ্যোক্তাদের তরফে প্রয়োজনীয় খাবার ও জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ায়, তা সামলাতে নাজেহাল হতে হয় উদ্যোক্তাদের। প্রচণ্ড ভিড়ে ঠেলাঠেলি, হুড়োহুড়ি শুরু হয়। মাত্রাতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে ২-৩ জন রীতিমতো অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে বলরাম স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সান স্ট্রোকেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। অসুস্থ হয়েছেন ৫০ অধিক বেশি মানুষ। তাঁদেরকেও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। দু’জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।

এক প্রতক্ষ্যদর্শীর বক্তব্য, “ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন বাঁশের পালকিতে ঠাকুর নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন। বাঁশে ধাক্কা লেগে পড়ে যান বেশ কিছু মানুষ। ভিড়ের মধ্যে এভাবে একজনের ওপর এসে পড়ে আর একজন।” দই-চিঁড়ে উৎসবে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পরেও প্রশাসনের তরফে মেলায় ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান জেলাশাসক সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, ” আয়োজন ঠিকঠাকই ছিল। অন্যান্য বছর এই বছরের তুলনায় দ্বিগুণ দর্শনার্থী আসেন। কিন্তু এবছর মাত্রাতিরিক্ত গরমের ফলে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। অনেকে অসুস্থ হয়েছেন, তাঁদের পানিহাটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, “আয়োজনে ত্রুটি ছিল না, কিন্তু আবহাওয়া অনুকূল ছিল না।”

ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিন টুইট করে তিনি বলেন, “প্রচণ্ড গরমে ও আর্দ্রতার কারণে দণ্ড মহোৎসবে পানিহাটির ইস্কন মন্দিরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিপি ও জেলাশাসক সেখানে পৌঁছেছেন। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁদেরকে প্রশাসনের তরফে সব রকম সাহায্য করা হবে।”

পানিহাটি: পানিহাটিতে দণ্ড মহোৎসবে চরম বিশৃঙ্খলা। যার জেরে রবিবার সকালে বেঘোরে প্রাণ হারালেন ৩ দর্শনার্থী। মৃত্যুর খবর শুনে চাঞ্চল্য ছড়ায় মেলা প্রাঙ্গণে। ফলত তাড়াহুড়োর মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও অনেক দর্শনার্থী। অসুস্থদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, পানিহাটির মহোৎসব তলা ঘাটে দই-চিঁড়ে উৎসব চলছিল। কথিত আছে, মহোৎসব তলা ঘাটে এসেই দই-চিঁড়ে খেয়েছিলেন শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু। সেই বিষয়টিকে স্মরণে রেখেই পালিত হয় দণ্ড মহোৎসব। প্রতি বছরের মতো এবছরও অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল পানিহাটি পৌরসভা। ৫০০ বছরের পুরোনো এই দই-চিঁড়ে উৎসব কোভিড মহামারির কারণে গত দু’বছর বন্ধ ছিল। এবছর ৫০৬ বছরে পড়েছে এই উৎসব। শনিবার থেকেই ভক্ত সমাগম হয়েছিল পানিহাটি মহোৎসব তলা ঘাটে। রবিবার সেই ভিড় লাগাম ছাড়ায়। পাশাপাশি জেলা থেকেও বহু দর্শনার্থী এসে ছিলেন এই মেলায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে। উদ্যোক্তাদের তরফে প্রয়োজনীয় খাবার ও জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ায়, তা সামলাতে নাজেহাল হতে হয় উদ্যোক্তাদের। প্রচণ্ড ভিড়ে ঠেলাঠেলি, হুড়োহুড়ি শুরু হয়। মাত্রাতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে ২-৩ জন রীতিমতো অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে বলরাম স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সান স্ট্রোকেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। অসুস্থ হয়েছেন ৫০ অধিক বেশি মানুষ। তাঁদেরকেও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। দু’জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।

এক প্রতক্ষ্যদর্শীর বক্তব্য, “ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন বাঁশের পালকিতে ঠাকুর নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন। বাঁশে ধাক্কা লেগে পড়ে যান বেশ কিছু মানুষ। ভিড়ের মধ্যে এভাবে একজনের ওপর এসে পড়ে আর একজন।” দই-চিঁড়ে উৎসবে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পরেও প্রশাসনের তরফে মেলায় ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান জেলাশাসক সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, ” আয়োজন ঠিকঠাকই ছিল। অন্যান্য বছর এই বছরের তুলনায় দ্বিগুণ দর্শনার্থী আসেন। কিন্তু এবছর মাত্রাতিরিক্ত গরমের ফলে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। অনেকে অসুস্থ হয়েছেন, তাঁদের পানিহাটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, “আয়োজনে ত্রুটি ছিল না, কিন্তু আবহাওয়া অনুকূল ছিল না।”

ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিন টুইট করে তিনি বলেন, “প্রচণ্ড গরমে ও আর্দ্রতার কারণে দণ্ড মহোৎসবে পানিহাটির ইস্কন মন্দিরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিপি ও জেলাশাসক সেখানে পৌঁছেছেন। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁদেরকে প্রশাসনের তরফে সব রকম সাহায্য করা হবে।”

Next Video