Banarhat Partha Bhowmick Visit: এলেন, কিন্তু গেলেন না
Banarhat Partha Bhowmick Visit: অভিযোগ, বানারহাট এলাকায় সবচাইতে বেশি ক্ষতি হলেও সেচ মন্ত্রী সেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাননি। বানারহাটের সেচ দফতরের বাংলোতে তিনি দুপুরে পৌঁছান।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে সেচ মন্ত্রী এবং নবান্নের একটি দল অতি ভারী বৃষ্টিতে যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো ক্ষয়ক্ষতি ঘুরে দেখতে পাঠিয়েছে সেচ মন্ত্রীকে। অভিযোগ, বানারহাট এলাকায় সবচাইতে বেশি ক্ষতি হলেও সেচ মন্ত্রী সেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাননি। বানারহাটের সেচ দফতরের বাংলোতে তিনি দুপুরে পৌঁছান। সেখানেই দুপুরের আহার সারেন। সেখান থেকে সোজা বেরিয়ে যান ধূপগুড়ির উদ্দেশ্যে। এতেই রীতিমত ক্ষুদ্ধ গয়েরকাটা , বিন্নাগুড়ি এলাকার বাসিন্দারা। তবে ধূপগুড়িতে এসেও জলমগ্ন এলাকা ভাঙন এলাকা কিন্তু পরিদর্শনে তিনি যান নি। একটি প্রকল্পের শিলান্যাস করে ধূপগুড়ি থেকেও বেরিয়ে যান তিনি।
কারণ কিছুদিন আগে ডুয়ার্স ও ভুটান পাহাড়ে অতি ভারী বৃষ্টিতে জলস্ফিতি দেখা দিয়েছিলো একাধিক নদীতে। যার কারনে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। জলমগ্ন হয়ে পড়ে গয়েরকাটা, বিন্নাগুড়ি, ধূপগুড়ির বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু কার্লভার্ট, রাস্তাঘাট,চা বাগান, ঘরের ভেতর জল ঢুকে পড়ে। জলবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার। বানারহাট ব্লকে ছয়টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঁধের জালি ছিঁড়ে গিয়ে পাথর বেরিয়ে নদীতে চলে গিয়েছে। নেপালি বস্তি এলাকায় ব্যাপক ভাঙন হয়েছে। অ্যাপ্রচ বাঁধ ভেসে গিয়েছে।হাতি নালার জলের স্রোতে একটি ঘরও ভেসে যায়। এতকিছুর পরেও এইসব এলাকায় পরিদর্শনে যাননি মন্ত্রী বলে অভিযোগ । যেই দৃশ্য টিভি তে দেখে মুখ্যমন্ত্রী চিন্তিত হয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেচ মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি আধিকারিক দের দল পাঠিয়েছিলেন , অথচ সেই সমস্ত এলাকাতেই গেলেন না খোদ মন্ত্রী এমন টাই । যার কারণে রীতিমত ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।আর মন্ত্রীকে বিধতে ছাড়েননি বিরোধীদল বিজেপিও।
এদিকে শাসক দলের নেতা গোপাল চক্রবর্তী বলেন, মন্ত্রী এসছিলেন সেচ দফতরের বাংলোতে বসেছিলেন আমরা তাদেরকে জানিয়েছি। প্রশাসনিক কর্তাদের থেকে তিনি তথ্য নিয়েছেন। কিন্তু এলাকায় যাননি।