Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ayodhya Ram Mandir: কীভাবে তৈরি হল অযোধ্যার রাম মন্দির?

Ayodhya Ram Mandir: কীভাবে তৈরি হল অযোধ্যার রাম মন্দির?

rahul Sadhukhan

|

Updated on: Jan 22, 2024 | 6:45 PM

বিশাল এই মন্দির ভারতীয় ঐতিহ্যশালী স্থাপত্য ও বিজ্ঞানের সংমিশ্রণ। কোন রহস্যে আগামী ২,৫০০ বছর ভূমিকম্প প্রতিরোধে সক্ষম এই মন্দির? জানতে দেখুন এই ভিডিয়ো।

রাম লালা বা শ্রী রামচন্দ্রের শিশু রূপের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অযোধ্যায়। বিশাল এই মন্দির ভারতীয় ঐতিহ্যশালী স্থাপত্য ও বিজ্ঞানের সংমিশ্রণ।
অযোধ্যার শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারপার্সন শ্রী নৃপেন্দ্র মিশ্র বলছেন “অয্যোধ্যার রাম মন্দিরের স্থায়িত্ব হাজার বছরেরও বেশি হবে। শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এই আইকনিক কাঠামো তৈরি করতে অবদান রেখেছেন। মন্দির নির্মাণের কাজ করেছে সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রুরকি মন্দির তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে ইসরোর প্রযুক্তিও”।

মন্দিরের স্থাপত্য নকশাটি তৈরি করেন চন্দ্রকান্ত সোমপুরা। তাঁরা উত্তরাধিকারসূত্রে ১৫ প্রজন্ম ধরে বিভিন্ন মন্দিরের নকশা তৈরি করে আসছেন। মন্দিরটি নগর শৈলী বা উত্তর ভারতীয় মন্দিরের নকশা অনুসারে তৈরি।

সোমপুরা পরিবার ১০০ টিরও বেশি মন্দিরের নকশা করেছে। সোমপুরার মতে শুধু ভারতেই নয় পৃথিবীতেও এরকম মন্দির বিরল। ২.৭ একরে প্রায় ৫৭,০০০ বর্গফুট এলাকায় তৈরি মন্দিরটি। মন্দিরের কাঠামো তিন তলার। মন্দিরের উচ্চতা ১৬১ ফুট যা কুতুব মিনারের উচ্চতার প্রায় ৭০%।

মন্দিরের নির্মাণে ব্যবহৃত হয়নি কোনও রকম লোহা বা ইস্পাত। লোহার তৈরি নির্মাণের আয়ু মাত্র ৮০ থেকে ৯০ বছর। সেই তুলনায় ভারতীয় স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি নির্মাণ অনেক বেশি টেকসই।

কী কী ব্যবহার হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরিতে?

উচ্চ মানের গ্রানাইট, বেলেপাথর ও মার্বেল। মন্দিরের জয়েন্টে ব্যবহৃত হয়নি সিমেন্ট, চুন ও সুরকি। মন্দিরের গ্রুভ ও রিজকে ‘লক এন্ড কি’ পদ্ধতিতে লাগিয়ে তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রুরকির ডিরেক্টর ডঃ প্রদীপ কুমার রামনচারলা বলছেন আগামী ২,৫০০ বছর ভূমিকম্প প্রতিরোধে সক্ষম এই মন্দির।

সরযুর তীরে অবস্থিত মন্দিরের নীচে ছিল বালির স্তর। তাই ১৫ মিটার খুঁড়ে ৪৭টি স্তরে শক্ত গ্রানাইট পাথরের ভিত দেওয়া হয়। মন্দিরের ওপরের অংশটি গোলাপী বেলেপাথর দিয়ে তৈরি। এই গোলাপী পাথরের নাম ‘বংশী পাহাড়পুর’। মন্দিরের নীচের তলায় আছে ১৬০টি থাম। ১ম তলে ১৩২টি থাম। আর ওপরের তলায় ৭৪টি থাম আছে। এই সব থামই গোলাপি পাথরে তৈরি। গর্ভগৃহ তৈরি রাজস্থানের সাদা মাকরানা মার্বেলে। তাজমহলও তৈরি এই মাকরানা মার্বেলে। ৫০টি কম্পিউটার মডেল বিশ্লেষণের পর এই মন্দিরের স্থাপত্য ঠিক করা হয়। মূল মন্দিরের কাঠামোর নকশায় সূর্য তিলকের মতো।