Sri Lanka Political Crisis: সঙ্কট মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে শ্রীলঙ্কায় বিরোধী দলগুলির জোট সরকার?
দেশের জনগন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজাপক্ষ সরকারের দুর্নীতি ও ভুল নীতিই ডুবিয়েছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে।
কলম্বো: রাষ্ট্রপতির ইস্তফা নিয়ে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র। শনিবার থেকে পুনরায় শ্রীলঙ্কার রাজপথে নেমেছে দেশের জনগণ। শ্রীলঙ্কার জুড়ে বিক্ষোভের মাঝেই রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে পালিয়েছেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। আগামী বুধবার ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। ইস্তফা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেও। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রবেশ করেছে বিক্ষোভকারীরা। দেশজুড়ে এই চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই রবিরার শ্রীলঙ্কার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে।
রাজাপক্ষের ইস্তফার পর দেশের আর্থিক সঙ্কট পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আলোচনা চালিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে জানানো হয়েছে, “সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলির অংশগ্রহণে অন্তবর্তী সরকার তৈরির বিষয়ে সম্মত হয়েছি। এই সরকারে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকবে।” এছাড়াও তাঁরা জানিয়েছেন, ১৩ জুলাই রাজাপক্ষের ইস্তফা অবধি অপেক্ষা করার কোনও প্রয়োজনই নেই, তার আগেই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্রের এই দেউলিয়া অবস্থা কেন হল? দেশের জনগন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজাপক্ষ সরকারের দুর্নীতি ও ভুল নীতিই ডুবিয়েছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে। শ্রীলঙ্কার এই আর্থিক বিপর্যয়ের সময় পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কাকে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে দ্বীপরাষ্ট্রের পাশে থাকার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা রবিবার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘের সরকারি বাড়িগুলির দখল নিয়েছেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় প্রতিবাদী জনতা। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে অনড়। সঙ্কট পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বল্প সময়ের জন্য তারা যে সরকার গড়তে সমর্থ তাও জানিয়েছে তারা।