Basirhat Water Issue: আর্সেনিক থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে স্কুলে আধুনিক প্রযুক্তির পানীয় জলের প্রকল্প
দীর্ঘদিন ধরে শহরবাসী সেই জল খেয়ে একাধিক রোগে ভুগতো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তো খুদে পড়ুয়ারা। একাধিক পেটের সমস্যা থেকে শুরু করে ত্বক এবং শরীরের একাধিক রোগ দেখা দিত। তাই বাধ্য হয়ে তাদেরকে বাইরে থেকে জল কিনে খেতে হতো। শহরের বিদ্যালাগুলিও একই সমস্যা ভুগতো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যেত শহরের মধ্যে যে বিদ্যালয় রয়েছে সেখানকার পানীয় জল মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়
সীমান্ত শহর বসিরহাটের পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। একদিকে যেমন এখানকার পানীয় জলে রয়েছে আর্সেনিক, পাশাপাশি একাধিক জায়গায় যে সমস্ত ডিপ টিউবওয়েল গুলি রয়েছে সেখানকার জলের মান অত্যন্ত নিম্ন, যা পান করার যোগ্য নয়। দীর্ঘদিন ধরে শহরবাসী সেই জল খেয়ে একাধিক রোগে ভুগতো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তো খুদে পড়ুয়ারা। একাধিক পেটের সমস্যা থেকে শুরু করে ত্বক এবং শরীরের একাধিক রোগ দেখা দিত। তাই বাধ্য হয়ে তাদেরকে বাইরে থেকে জল কিনে খেতে হতো। শহরের বিদ্যালাগুলিও একই সমস্যা ভুগতো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যেত শহরের মধ্যে যে বিদ্যালয় রয়েছে সেখানকার পানীয় জল মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই সেই সমস্যার সমাধানে এবার উদ্যোগী হল কলকাতা ও সন্দেশখালীর এক নম্বর ব্লকের দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও একটি বেসরকারি রিসার্চ সংস্থা। দেশের এক বহুজাতিক কোম্পানির সহযোগিতায় উপরোক্ত ঐ সংস্থা গুলি বসিরহাট টাউন হাইস্কুলে আধুনিক প্রযুক্তির এক পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পের সূচনা করলেন। এই পানীয় জল প্রকল্পকে সচল রাখতে প্রয়োজন হবে না কোনো বিদ্যুৎ বা সোলারের সিস্টেমের। ট্যাংকিতে থাকা জলকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে মেশিন অবধি পৌঁছে অবশেষে পরিস্রুত পানীয় জল হয়ে ছটি কলের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। যার সুবিধা পাবেন স্কুলের প্রায় ৩০০০ পড়ুয়া থেকে শুরু করে কয়েক’শ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীবৃন্দরা। পাশাপাশি স্কুল খোলা থাকাকালীন বসিরহাট পৌর এলাকার বিভিন্ন প্রান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা এখান থেকে পানীয় জল নিয়ে যেতে পারবেন। উদ্যোক্তারা জানান, আধুনিক প্রযুক্তির এই পানীয় জলের মেশিন ঘন্টায় প্রায় ২০০০ লিটার জল পরিস্রুত করে পরিষেবা দিতে পারবে। এই জল প্রকল্প সূচনার ফলে পড়ুয়ারা যে পানীয় জলে সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত হলো সে কথা বলাই বাহুল্য।