Panchayat Election 2023 Result: জিতলেন দণ্ডিকান্ডের সেই নির্যাতিতা
দণ্ডি কান্ডের অন্যতম নির্যাতিতা শিউলি মার্ডি জয়ী হলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে চকবলরাম গ্রাম সংসদে জয়ী হয়েছেন শিউলি মার্ডি। তিনি এবার ওই এলাকার বিজেপি প্রার্থীকে ১০৫ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন। জয়ের পরে এলাকায় আদিবাসীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে।
দণ্ডি কান্ডের অন্যতম নির্যাতিতা শিউলি মার্ডি জয়ী হলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে চকবলরাম গ্রাম সংসদে জয়ী হয়েছেন শিউলি মার্ডি। তিনি এবার ওই এলাকার বিজেপি প্রার্থীকে ১০৫ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন। জয়ের পরে এলাকায় আদিবাসীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। এই জয়ের জন্য সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিউলি মার্ডি। প্রথম থেকেই দণ্ডি কান্ডের গ্রামে নজর ছিল সকলের। খোদ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসে কথা বলেছিলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও পালটা ওই গ্রামে দণ্ডি কান্ড ইস্যু করে প্রচার করেছিলেন। তবে শেষ অবদি দণ্ডি কান্ডের শিকার মহিলাই জয়ী হলেন।জানা গেছে, ওই গ্রামে তৃণমূলের শিউলি মার্ডি ভোট পেয়েছে ৫২০ টি এবং বিজেপির প্রার্থী মৌসুমি মার্ডি ৪১৫ টি ভোট পেয়েছে। এদিকে প্রথম থেকেই দণ্ডি কান্ডের গ্রামে নজর ছিল সকলের। খোদ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকায় গিয়েছিলেন। কথা বলে দণ্ডি কান্ডের অভিযুক্ত নেত্রীকে বালুরঘাটের ভাইস চেয়ারপার্সন এর পদ থেকে অপসারণ করেন। পরে ওই মহিলাকেই পঞ্চায়েতেত টিকিট দেয় তৃণমূল। এরপর দণ্ডি কান্ডের নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রচার চালায়। ওই গ্রামে গিয়ে তিনি মিছিল করেছিলেন। তবুও ওই প্রার্থী এবারের পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী হয়েছেন। এদিকে তপনের গোফানগর গ্রামপঞ্চায়েত আগেও বিরোধীশূন্য ছিল। এবার তৃণমূলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। এদিকে তপন ব্লকের ১১ টি গ্রামপঞ্চায়েত রয়েছে। সেই পঞ্চায়েতে ১০ টিতেই তৃণমূল নিজেদের দখল করেছে বলে জানা গিয়েছে। বাকি রামচন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েতে বিজেপি তৃণমূল লড়াই করছে।
এবিষয়ে শিউলি মার্ডি বলেন, আমি এবার জয়ী হয়েছি। এই জয়ের জন্য আমার গ্রামের সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানাই।এবিষয়ে জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, প্রথম থেকেই তৃণমূল দণ্ডি কান্ডের মহিলাদের পাশে ছিলেন। দল ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এব্যাপারে সরব হয়েছিলেন। তাই ওই গ্রামের মানুষ ওই মহিলার পক্ষেই রায় দিয়েছেন।অন্যদিকে এবিষয়ে পালটা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় বলেন, তৃণমূল আদিবাসীদের অপমান করেছ। এরপর সেই মহিলাকেই প্রার্থী করেছে। ভোটের সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ব্রাত্য বসু এসেছিলেন। তাই তৃণমূল নিজেদের মান সন্মান বাচাতে ওই গ্রামে আদিবাসী মানুষকে ভয় দেখিয়ে এবং টাকা দিয়ে ভোট আদায় করেছে।