বোলপুর: উত্তম সাহা, বীরভূম সনসত গ্রামের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। মাথায় ভ্রু-র উপরে কাটা দাগটা দেখালেন অসহায়ভাবেই। পাগলের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন একবার থানায় তো একবার তৃণমূলের পার্টি অফিসে। অত্যাচারের দাগ, স্মৃতি কোনওটাই ফিকে হয়নি উত্তমের পরিবারের। দলের সক্রিয় কর্মী হয়েও দলের কিছু প্রভাবশালী নেতাই দখল করে নিয়েছে ভিটে-মাটির অনেকটা। কার্যত জমি গিলে নিয়েছে। কোথায় গেলে ন্যায় পাবেন উত্তম? পার্টি অফিস ও থানায় ঘুরেও কাজ হচ্ছে না, বলছে ওই তৃণমূল কর্মী। বীরভূমের বাহুবলি অনুব্রত মণ্ডলকে আপাতত জেলে। ‘কাকু’ অনুব্রত যখন বাইরে ছিলেন তখন তাঁর কাছে অভিযোগ জানালে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন সবটা দেখে নেওয়ার। সেই আশ্বাসও বিফলে গিয়েছে। উত্তম দলকে ভালবাসেন। যাঁদের বিরুদ্ধে উত্তমের অভিযোগ, তাঁরা বলছেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা, এই ধরণের মানুষ আমরা নই। আমার জায়গাতেই কত লোক বাস করছে”। তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল প্রধান বলছেন, “আমি বসে মীমাংসা করে দিয়েছি। ওর তো আর কিছু বলার থাকতে পারে না। ওর মাথার এক্কটু গোলমাল রয়েছে। মাঝে মাঝে ওইরকম করে বেড়ায়”।
সনসত গ্রামের বাসিন্দা উত্তম সাহা নামে ওই তৃণমূল কর্মী দুই মেয়ে, স্ত্রী ও ভাইকে নিয়ে থাকেন। ছিলেন তাঁর মাও। লকডাউনের সময় মৃত্যু হয় তাঁর। উত্তম সাহার অভিযোগ, “মাকে পিটিয়ে মেরে দিল লকডাউনের সময়। থানা তখন কোনও কথা শোনেনি। আমাকে সেই সময় এক শতক জায়গা দিয়ে চার শতক জায়গা লিখিয়ে নিয়েছিল”। ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা সঞ্জু চৌধুরী ও তার দলবল। কিন্তু কেন এমন ঘটনা? উত্তম বলছেন, পুরোটাই জমি দখলের জন্য। শুধু জমি দখল নয়, ভয় দেখিয়ে আদায় করা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। পরিবারকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য চান উত্তম। চোখে জল নিয়ে ‘দিদি’র কাছে তাঁর কাতর আর্তি, ‘একটু দেখুন যাতে, শান্তিতে বাঁচতে পারি। তৃণমূল কর্মীরা বড্ড অত্যাচার করছে…।”
বোলপুর: উত্তম সাহা, বীরভূম সনসত গ্রামের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। মাথায় ভ্রু-র উপরে কাটা দাগটা দেখালেন অসহায়ভাবেই। পাগলের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন একবার থানায় তো একবার তৃণমূলের পার্টি অফিসে। অত্যাচারের দাগ, স্মৃতি কোনওটাই ফিকে হয়নি উত্তমের পরিবারের। দলের সক্রিয় কর্মী হয়েও দলের কিছু প্রভাবশালী নেতাই দখল করে নিয়েছে ভিটে-মাটির অনেকটা। কার্যত জমি গিলে নিয়েছে। কোথায় গেলে ন্যায় পাবেন উত্তম? পার্টি অফিস ও থানায় ঘুরেও কাজ হচ্ছে না, বলছে ওই তৃণমূল কর্মী। বীরভূমের বাহুবলি অনুব্রত মণ্ডলকে আপাতত জেলে। ‘কাকু’ অনুব্রত যখন বাইরে ছিলেন তখন তাঁর কাছে অভিযোগ জানালে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন সবটা দেখে নেওয়ার। সেই আশ্বাসও বিফলে গিয়েছে। উত্তম দলকে ভালবাসেন। যাঁদের বিরুদ্ধে উত্তমের অভিযোগ, তাঁরা বলছেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা, এই ধরণের মানুষ আমরা নই। আমার জায়গাতেই কত লোক বাস করছে”। তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল প্রধান বলছেন, “আমি বসে মীমাংসা করে দিয়েছি। ওর তো আর কিছু বলার থাকতে পারে না। ওর মাথার এক্কটু গোলমাল রয়েছে। মাঝে মাঝে ওইরকম করে বেড়ায়”।
সনসত গ্রামের বাসিন্দা উত্তম সাহা নামে ওই তৃণমূল কর্মী দুই মেয়ে, স্ত্রী ও ভাইকে নিয়ে থাকেন। ছিলেন তাঁর মাও। লকডাউনের সময় মৃত্যু হয় তাঁর। উত্তম সাহার অভিযোগ, “মাকে পিটিয়ে মেরে দিল লকডাউনের সময়। থানা তখন কোনও কথা শোনেনি। আমাকে সেই সময় এক শতক জায়গা দিয়ে চার শতক জায়গা লিখিয়ে নিয়েছিল”। ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা সঞ্জু চৌধুরী ও তার দলবল। কিন্তু কেন এমন ঘটনা? উত্তম বলছেন, পুরোটাই জমি দখলের জন্য। শুধু জমি দখল নয়, ভয় দেখিয়ে আদায় করা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। পরিবারকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য চান উত্তম। চোখে জল নিয়ে ‘দিদি’র কাছে তাঁর কাতর আর্তি, ‘একটু দেখুন যাতে, শান্তিতে বাঁচতে পারি। তৃণমূল কর্মীরা বড্ড অত্যাচার করছে…।”