Boxa Forest: দুয়ারে বাঘ, সরতে হবে বনবস্তিকে
Forest: বক্সার দুয়ারে বাঘ। বাঘ আনার নামে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দুটি বনবস্তীকে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প, কিন্তু আশ্বাস পাওয়া সত্তেও মিলেনি আর্থিক প্যাকেজ। কবে মিলবে প্যাকেজ সঠিক উত্তর জানেনা কেউ। প্যাকেজ না পাওয়ার দরুন এই দুই বনবস্তীর যুবতীদের বিবাহ আটকে রয়েছে।
বক্সার দুয়ারে বাঘ। বাঘ আনার নামে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দুটি বনবস্তীকে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প, কিন্তু আশ্বাস পাওয়া সত্তেও মিলেনি আর্থিক প্যাকেজ ।কবে মিলবে প্যাকেজ সঠিক উত্তর জানেনা কেউ। প্যাকেজ না পাওয়ার দরুন এই দুই বনবস্তীর যুবতীদের বিবাহ আটকে রয়েছে।
দুশ্চিন্তায় আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তগত কালচিনি ব্লকের গাঙ্গুটিয়া ও কুমারগ্ৰাম ব্লকের ভুটিয়া বনবস্তির বাসিন্দারা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে অন্তগত গাঙ্গুটিয়া বনবস্তিতে ৬৩ টি পরিবারের বসবাস এই গ্ৰামে ১৯৫ জন প্রাপ্ত বয়ষ্ক মানুষের বসবাস ওপরদিকে ভুটিয়া বস্তিতে প্রায় ১৫০ মানুষের বসবাস । এই দুটো বনবস্তিতে প্রায় ৩৫০ জন মানুষ রয়েছে। বক্সা জঙ্গলে বাঘ আনা হবে এবং বাঘের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া বস্তি এই দুটি বনবস্তি প্রায় ৩৫০ জন বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নেয় বনদফতর। এবং এই বনবস্তির প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার ও কথা হয়।
গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া বনবস্তির বাসিন্দারা জানান চার বছর পূর্বে বনদফতরে থেকে জানানো হয় বক্সা জঙ্গলে বাঘ ছাড়া হবে এবং বাসিন্দাদের গ্ৰাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে এবং বাসিন্দাদের আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হবে। গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া এই দুটি বনবস্তি সমস্ত বাসিন্দারা এই শর্তে রাজী হয় এবং তারা লিখিত ভাবে ইতিমধ্যে বনদফতরে কাছে জানিয়ে দেয় তারা অন্যত্র যেতে ইচ্ছুক কিন্ত দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এই দুটি বনবস্তির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু হয়নি মিলেনি আর্থিক প্যাকেজ ও ।
গাঙ্গুটিয়া বনবস্তির অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষিজীবি । গ্ৰামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে খরস্রোতা গাঙ্গুটিয়া নদী । এই গাঙ্গুটিয়া নদীর ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে গাঙ্গুটিয়া বস্তির অধিকাংশ জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে এমনকি অনেকের ঘর নদী গর্ভে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাসিন্দারা জানান গ্ৰামে প্রবেশে সড়ক ও খারাপ। একে ভাঙ্গনের সমস্যা ওপরদিকে গ্ৰামে কোনো উন্নয়নের কাজ হচ্ছেনা এই বিষয়ে বিভিন্ন দফতরে আবেদন করলে জানানো হয় শীঘ্র এই গ্ৰামের বাসিন্দাদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে । কিন্তু গ্ৰামবাসীদের প্রশ্ন কবে আর্থিক প্যাকেজ মিলবে। দীর্ঘ চারবছর হল।
গাঙ্গুটিয়া বনবস্তি বাসিন্দারা জানান গ্ৰামে কোনো উন্নয়ন নেই , ভাঙ্গনে ভিটে মাটি সব যাওয়ার উপক্রম ওপরদিকে আর্থিক প্যাকেজ কবে মিলবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বর্তমানে দুশ্চিন্তায় তারা । বাসিন্দারা আরো জানান বর্তমানে এমন অবস্থা এসেছে যে গ্ৰাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার উপক্রম হয়ে এসেছে। শীঘ্র আর্থিক প্যাকেজ প্রদান করার দাবি জানিয়েছে বাসিন্দারা । এই আর্থিক প্যাকেজ না পাওয়ায় গ্ৰামের কয়েকজন যুবতী বিবাহ ওবধি আটকে রয়েছে।
ওপরদিকে জয়ন্তী নদী পেরিয়ে অন্যতম প্রত্যন্ত এলাকা ভুটিয়া বনবস্তি বর্ষাকালে যখন খরস্রোতা জয়ন্তী নদীর জল বেড়ে যায় তখন ভুটিয়া বনবস্তির বাসিন্দাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় । এছাড়া এই গ্ৰামে রয়েছে আরো সমস্যা। ইতিমধ্যে গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া এই দুটি গ্ৰামে বন প্রতিমন্ত্রী থেকে শুরু করে বনদফতরের একাধিক আধিকারিকেরা এসেছে গ্ৰামবাসীদের আশ্বাস দিয়েছে শীঘ্র আর্থিক প্যাকেজ দিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে। কিন্ত এখন ওবধি বনদফতরে থেকে গ্ৰামবাসীদের জানানো হয়নি কবে মিলবে সেই প্যাকেজ।
গত ৪ এপ্রিল আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে এসে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছিল গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া এই দুটি বনবস্তির প্রায় ৩৫০ জন বাসিন্দাদের শীঘ্র অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে। এবং এই দুটো গ্ৰাম সরলে আস্তে আস্তে অন্য বনবস্তির বাসিন্দারা ও সরানো সম্ভব হবে এবং সবাইকে প্যাকেজ দেওয়া হবে। কিন্ত কবে দেওয়া হবে প্যাকেজ এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন এখন ওবধি কেন্দ্রের টাকা পায়নি। বনমন্ত্রী জানিয়েছিল বক্সা জঙ্গলে গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া এই দুটো বনবস্তিকে প্রথমে সরানো হবে আর বনবস্তি বাসিন্দাদের না সরিয়ে বক্সায় বাঘ এনে লাভ নেই। যদিও এই বিষয়ে বিজেপি নেতা রাজেষ বারলা জানান আমাদের দাবি শীঘ্র গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া বস্তির বাসিন্দাদের আর্থিক প্যাকেজ প্রদান করুক বনদফতর। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইক জানান সব ঠিক হয়ে গিয়েছে শীঘ্র আর্থিক প্যাকেজ প্রদান করে গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া বস্তির বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে।