Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Panchayat Election 2023: ঘুরে দাঁড়াবে কি ঘোড়ামারা?

Panchayat Election 2023: ঘুরে দাঁড়াবে কি ঘোড়ামারা?

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Moumita Das

Updated on: Jun 15, 2023 | 8:00 PM

খাসিমারায় বাড়ি ছিল শেখ আফতাউদ্দিনের। আজ আফতাউদ্দিনের মতো বেশ কিছু মানুষ জলবায়ুর কারণে উদ্বাস্তু। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর সরাসরি প্রভাব ওঁদের জীবনে। ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ঘোড়ামারা? একটা করে ঘূর্ণিঝড় ওঠে সাগরের গর্ভে আর ওঁদের বুক ঢিপঢিপ করে। সন্তান- বাড়িঘর- অস্তিত্ব থাকবে তো? তড়িঘড়ি ভরে ওঠে সাইক্লোন সেন্টার।

ঘোড়ামারার পশ্চিমে ছিল খাসিমারা আর দক্ষিণে ছিল লোহাচরা দ্বীপ। সুন্দরবনের বৃহৎ বদ্বীপ অঞ্চলের দুটি জনপদ। আজ তারা মানচিত্রে নেই। তলিয়ে গেছে অতল জলের তলায়। খাসিমারায় বাড়ি ছিল শেখ আফতাউদ্দিনের। আজ আফতাউদ্দিনের মতো বেশ কিছু মানুষ জলবায়ুর কারণে উদ্বাস্তু। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর সরাসরি প্রভাব ওঁদের জীবনে। ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ঘোড়ামারা? একটা করে ঘূর্ণিঝড় ওঠে সাগরের গর্ভে আর ওঁদের বুক ঢিপঢিপ করে। সন্তান- বাড়িঘর- অস্তিত্ব থাকবে তো? তড়িঘড়ি ভরে ওঠে সাইক্লোন সেন্টার। পানের জন্য খ্যাতি ছিল ঘোড়ামারার। ফনি, বুলবুল, আমফান, ইয়স, মোখাদের ক্রমাগত আঘাতে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পানের বরোজগুলো। সাগর দ্বীপ বা কাকদ্বীপে কোনও কাজের প্রয়োজনে যেতে হলে ভরসা ভুটভুটি। সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সেরে নিতে হয় কাজকর্ম। তারপর ভাগীরথীর মোহনায় জেগে থাকে একলা দ্বীপটা। জামসেদ খাঁর বাড়ি চলে গেছে জলের তলায়। মা স্ত্রী পুত্র পুত্রবধূ আর নাতি নাতনি নিয়ে তিনি চলে গেছেন দ্বীপের কিছুটা ভিতরে। প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী অনিশ্চয়তা। বোল্ডার ফেলে কিছুটা মেরামতি, আটকাতে পারে না জলের তীব্র তোড়। তবু এখানে মানুষ আছে তাঁরা পরিবেশকে আগলে রেখে বাঁচছেন। তারই মধ্যে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। কী বলছেন পঞ্চায়েত প্রধান? গ্রামে তৈরি হয়েছে পাকা রাস্তা। প্রত্যেক বাড়িতে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল। বাড়ি বাড়ি পৌঁছেছে শৌচাগার। তবে সেই শৌচাগার নিয়েও একমাত্র বিরোধী সদস্য নানান অভিযোগ আনছেন। বাকি সময় কেবল আশঙ্কা। অন্তহীন উদ্বেগ। অস্তিত্বের চিন্তা আর বিপন্নতার বারোমাস্যা। অধিবাসী কমছে এই দ্বীপের। এখন মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পাড়ি দিচ্ছে মুম্বই দিল্লি আর দেশের অন্য শহরে। কাজের আশায়। বাঁচার আশায়। এখন জনসংখ্যা ৪৭০০ আর মাত্র ২০০০ জনসংখ্যা কমলেই পঞ্চায়েত পদ মর্যাদা হারাবে এই পঞ্চায়েত।