AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murshidabad Unrest: ঘরে ফিরতে পারবে তো? অশান্তিতে সব খুইয়ে ভিটে-মাটি ছাড়া মুর্শিদাবাদের ৫০০ পরিবার

Murshidabad Unrest: দুর্গতদের অভিযোগ, 'আমাদের আর কিছুই নেই। বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। আসবাবপত্র সব জ্বালিয়ে দিয়েছে। সোনা গয়না, টাকা পয়সা, এমনকি গরু ও অন্যান্য গৃহপালিত পশুগুলি নিয়েও পালিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।'

Murshidabad Unrest: ঘরে ফিরতে পারবে তো? অশান্তিতে সব খুইয়ে ভিটে-মাটি ছাড়া মুর্শিদাবাদের ৫০০ পরিবার
অশান্তির ছবিImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2025 | 8:25 PM
Share

মুর্শিদাবাদ: নদীর ওই পাড়ে কি রয়েছে সুখপাখি? যখন সন্ত্রাস ঘিরে ধরেছে তাদের। ভিটে-মাটিতে ধরেছে অশান্তির ‘ফাটল’। সেই আবহে কার্যত প্রাণ বাঁচাতে শিকড়ছিন্ন বহু মানুষ। আদালতের নির্দেশে মুর্শিদাবাদে অশান্তিপূর্ণ এলাকাগুলিতে নেমেছে বিএসএফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চালানো হচ্ছে আপ্রাণ চেষ্টা। কিন্তু তার আগেই যে ‘সব হারিয়েছেন’ বেশ কিছু এলাকার মানুষজন। তাই ঘর ছেড়ে বাধ্য হয়েই তারা আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান-সহ একাধিক এলাকার কমপক্ষে ৫০০ টি পরিবার নিজেদের ভিটে-মাটি ছেড়ে গিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন মালদহের বৈষ্ণবনগর পারলাল হাই স্কুলে। সেখানেই আপাতত গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির। প্রাণের ভয়ে নিজেদের সাধের জমি বাড়ি ছেড়ে নদী পেরিয়ে এখন তাঁরা পাশের জেলার বাসিন্দা।

দুর্গতদের অভিযোগ, ‘আমাদের আর কিছুই নেই। বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। আসবাবপত্র সব জ্বালিয়ে দিয়েছে। সোনা গয়না, টাকা পয়সা, এমনকি গরু ও অন্যান্য গৃহপালিত পশুগুলি নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।’ আরও এক দুর্গত জানিয়েছেন, ‘আমরা তো বাংলাদেশি না, ভারতেই এই অবস্থা এখানে থেকেই যদি এমন হয় তাহলে আমরা কোথায় যাব? আমাদের জলের ট্যাঙ্কেও দুষ্কৃতীরা বিষ মিশিয়ে দিয়েছে।’

কিন্তু যেখানে ইতিমধ্যেই বিএসএফ মোতায়েন হয়েছে, নেমেছে আরও পুলিশ বাহিনী। কীভাবে তারপরেও ঘরছাড়া হলেন এই দুর্গতরা? শিকড়ছিন্নদেরই অভিযোগ, ‘পুলিশ রয়েছে, কিন্তু দুষ্কৃতীরা নাকি তাদের মানছে না। কোনও মতেই ওদের রোখা যাচ্ছে না।’

রবিবারই মালদার সদন SDO পঙ্কজ তামাং এই দুর্গতদের সঙ্গে ত্রাণ শিবিরে এসে দেখা করে যান। তিনি জানিয়েছেন, ‘শনিবার থেকেই সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তাদের দেওয়া হয়েছে। খাবার, জল, শৌচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, জামা কাপড়, ধুতিও পাঠানো হবে। সর্বক্ষণ এখানে প্রশাসনের কর্মীরা রয়েছেন।’