Abdul Karim Chowdury: ‘আমরা বড় ভাই-ছোট ভাই’, অবশেষে কি গলল আব্দুল করিমের অভিমানের বরফ?
Abdul Karim Chowdury: ইসলামপুরের ব্লক প্রেসিডেন্ট জাকির হোসেনকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়ে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।
ইসলামপুর : গত ৩০ এপ্রিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। ঠিক পরের দিন ইটাহারে অভিষেকের পৌরহিত্যে জেলা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকতেও দেখা যায়নি ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীকে। বেশ কিছুদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হতে দেখা যায় তাঁকে। অভিষেকের বৈঠকে করিম চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে বিতর্কের অবসান ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
ওই নির্দেশের পর রবিবারই অনেক রাতে করিমের বাড়িতে দেখা করতে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনা জানান আব্দুল করিম। বেশ কিছুক্ষণ দু’জনের আলোচনা হয় বলেও সূত্রের খবর। এরপর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোমবার এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীও।
ইসলামপুরের ব্লক প্রেসিডেন্ট জাকির হোসেনকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়ে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।
কানাইয়ালালের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “তুমি আলাদা, আমি আলাদা এটা ভাল লাগছে না। কতদিন হয়ে গেল, তোমার জন্যে আমি মিউনিসিপ্যালিটিতে পা রাখিনি। তুমি আমার সঙ্গে দোস্তি করে নাও। আমাকে তোমার মিউনিসিপ্যালিটি অফিসে নিমন্ত্রণ করে সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করাও। উন্নয়নের জন্য কী প্রোগ্রাম হচ্ছে জানাও। অনেকদিন দূরে দূরে হয়ে গেল। এখন দোস্ত হয়ে যাও আমার তুমি। ইসলামপুরে স্বার্থের জন্য, ভালর জন্য তোমাকে আমাকে দোস্ত হতে হবে। ইসলামপুরের এই সিটটা কেউ নিতে পারবে না। বুথ দখল করে নয়, মানুষের ভালবাসায় আজ পর্যন্ত টিকে আছি।”
তিনি আরও বলেন, “তুমি চেয়ারম্যান থাক, আমি এমএলএ আছি। আমরা বড় ভাই, ছোট ভাই হিসেবে আমরা কাজ করি। মানুষ খুব খুশি হবে।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এই বিষয়ে বলেন, “আমাদের সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে। ইটাহারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, আমাকে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার জন্য। সেই মোতাবেক ওঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম সাংঠনিক আলোচনা হয়েছে।”
তবে ইসলামপুর মহকুমায় একাধিক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছিলেন আব্দুল করিম চৌধুরী। ইসলামপুরের ব্লক প্রেসিডেন্ট জাকির হোসেনকে বরখাস্ত করার দাবি তুলে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেও একাধিকবার সরব হন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকেও অংশ নেননি তিনি। অবশেষে অভিষেকের হস্তক্ষেপে কি বরফ গলল? জেলা সভাপতির তাঁর বাড়িতে যাওয়ায় অভিমানী করিমের অভিমান কি তবে মিটল? এই প্রশ্নই কিন্তু ঘুরছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।