AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pahalgam Attack: উত্তরবঙ্গের আকাশে ‘পাক খাচ্ছে’ রাফাল, আজই কি তবে বড় ‘প্রত্যাঘাত’ করবে ভারত?

Pahalgam Attack: এবার আকাশপথেও শুরু হয়ে গেল টহলদারি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন পাকিস্তানের সঙ্গে 'কূটনৈতিক যুদ্ধে' নেমেছে ভারত, সেই আবহে তাদের 'বন্ধু' চিনকে কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। মাথার উপরে বসে, হাতের কাছে রয়েছে 'চিকেনস নেক'।

Pahalgam Attack: উত্তরবঙ্গের আকাশে 'পাক খাচ্ছে' রাফাল, আজই কি তবে বড় 'প্রত্যাঘাত' করবে ভারত?
প্রতীকী ছবিImage Credit: Getty Image
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2025 | 12:52 PM
Share

শিলিগুড়ি: পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় দফায় দফায় চড়ছে পারদ। ইতিমধ্যে প্রত্যাঘাতে নেমেছে ভারত। জম্মু-কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলছে সেনার চিরুনি তল্লাশি। জঙ্গি দমনে স্থল, জল কোনও পথকেই নিরাপত্তায় মোড়াতে ছাড়ছে না কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

এবার আকাশপথেও শুরু হয়ে গেল টহলদারি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন পাকিস্তানের সঙ্গে ‘কূটনৈতিক যুদ্ধে’ নেমেছে ভারত, সেই আবহে তাদের ‘বন্ধু’ চিনকে কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। মাথার উপরে বসে, হাতের কাছে রয়েছে ‘চিকেনস নেক’। সুতরাং, সেখানে প্রয়োজন পাহারা।

এবার এই ‘টহলদারি’ জল্পনার মাঝেই উত্তরবঙ্গের আকাশপথে প্রাথমিক মহড়া শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বাগডোগরা, হাসিমারার বায়ুসেনা ছাউনিতে বেড়েছে তৎপরতা। উত্তরবঙ্গের আকাশে দেখা মিলছে রাফাল যুদ্ধবিমানের। এছাড়াও অসম ও অরুণাচলের ঘাঁটিতেও বাড়ানো হয়েছে টহলদারি। সেনা সূত্রে খবর, ‘আক্রমণ’ নামে এই সামরিক মহড়া শুরু করেছে তারা। উত্তরবঙ্গ ছাড়াও হরিয়ানার অম্বলা এয়ারবেস থেকে দেখা গিয়েছে রাফাল, সুখোইদের উড়ে যেতে। তবে এটা শুধুই একটা রুটিন সামরিক মহড়া, এর সঙ্গে ‘প্রত্যাঘাতের’ কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানানো হয়েছে সেনা তরফে।

উল্লেখ্য, একাংশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের দাবি, চিনকে বিশ্বাস করা কঠিন। দেশ যখন পাকিস্তানের দিকে নজর দিয়ে রেখেছে, সেই আবহকে কাজে লাগিয়ে কিছু ‘বিপদ’ ঘটাতে পারে লালফৌজ। তাছাড়া, পাকিস্তানের সঙ্গে যদি যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হয়, সেই সময় চিন থেকেও আক্রমণের সম্ভবনা বাড়তে পারে। ফলে সব রকম প্রস্তুতি আগেভাগেই নিয়ে রাখতে হবে। এমনকি, সেক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের মাটিকেও ব্যবহার করতে পারেন বলেও দাবি করেন এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা।

অবশ্য যুদ্ধ আদৌ হবে কি না, সেই নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন অবসারপ্রাপ্ত সেনাকর্তা রাকেশ বালি। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ হবে বলে মনে করছি না। দুর্বল দেশ পাকিস্থান। ওরা যুদ্ধ চায় না। কিন্তু এই এলাকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। একদিকে চীন আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার হতে পারে। তাই সতর্ক থাকাটাই শ্রেয়।’

কোন কোন সীমান্তে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন?

ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, নাথুলা ছাড়াও বিস্তীর্ণ চিন সীমান্ত ও বাংলাদেশ সীমান্ত দুটোই অত্যন্ত স্পর্শকাতর। শত্রুরা মিলেমিশে সেখানে একাকার। ফলে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় চিনের তৎপরতা রয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের মাটিও পাকসেনারা ব্যবহার করতে পারে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।