Alipurduar: প্রেম- উদ্দাম যৌনতার মাঝে এসবেও হাত পাকায় ওরা! পাশের বাড়ির মেয়ের আসল পরিচয় ফাঁস করে পুলিশ, মৃত্যুভয়ে কাঁটা গ্রাম
Alipurduar: জিৎপুর এলাকায় একটি বাড়ি থেকে তল্লাশি চালায় অ্যান্টি ক্রাইম টিম। ওই বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। শহরের একটি বাড়ি থেকে ৭ এম এম পিস্তল,৫ রাউন্ড কার্তুজ ও ২ টি ম্যাগজিন উদ্ধার হয়। পুলিশ এই ঘটনায় লক্ষ্মী ও মনোজ নামে প্রেমিক যুগলকে গ্রেফতার করেছে।
আলিপুরদুয়ার: বাড়ি থেকে প্রেম মানেনি। মেয়ের পছন্দ করা ছেলে মেনে নিতে পারেননি বাবা-মা। প্রেমিকের হাত ধরে বাবা-মায়ের ঘর থেকে অন্য বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। প্রতিবেশীরা ভেবেছিলেন তাঁরা স্বামী স্ত্রী। কিন্তু পরে জানতে পারেন না বিয়ে করেই তাঁরা একসঙ্গে থাকছেন। কিন্তু তারপরও বিশেষ একটা বাধ সাধেননি কেউই। কিন্তু রবিবার যখন বাড়িতে পুলিশ এল, তখন রীতিমতো হতবাক হয়ে যান প্রতিবেশীরা। প্রথমটায় বিশেষ কেউই বুঝতে পারেননি। কিন্তু পরে ভাড়ার সেই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র। বাড়ি থেকে একটি ৭ এম এম পিস্তল,৫ রাউন্ড কার্তুজ ও ২ টি ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যান আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া ১ নম্বর অসম গেট দক্ষিণ জিৎপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম লক্ষ্মী গাস ও মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিৎপুর এলাকায় একটি বাড়ি থেকে তল্লাশি চালায় অ্যান্টি ক্রাইম টিম। ওই বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। শহরের একটি বাড়ি থেকে ৭ এম এম পিস্তল,৫ রাউন্ড কার্তুজ ও ২ টি ম্যাগজিন উদ্ধার হয়। পুলিশ এই ঘটনায় লক্ষ্মী ও মনোজ নামে প্রেমিক যুগলকে গ্রেফতার করেছে। লক্ষ্মী দাসের বাড়ি থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। মনোজ বাবুপাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতরা অস্ত্র কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। বেআইনিভাবে তাঁরা এই আগ্নেয়াস্ত্র বাড়িতে রেখেছিল।ধৃত লক্ষী দাসের মা বলেন, “ঘটনাটি আমি জানিনা।ওই ছেলের সঙ্গে আমি মেয়ের বিয়ে দেব না। মেয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। ওই ছেলেটাই আগ্নেয়াস্ত্র এনে রেখে আমার মেয়েকে ফাঁসিয়েছে।”
যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন এই অস্ত্র কোথা থেকে এল? এর শিকড় খুঁজে বের করা দরকার।নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন এলাকার বাসিন্দারা।