Panchayat Board: নাপসন্দ প্রধানের নাম, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে বেআব্রু শাসকের কোন্দল
Alipurduar: গতকাল বোর্ড গঠনের বৈঠকের পরই প্রকাশ্যে চলে আসে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর অন্তর্দ্বন্দ্ব। যাঁকে পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, তা মোটেই পছন্দ নয় তৃণমূলের একাংশের। আর তা নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
আলিপুরদুয়ার: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে ফের একবার বেআব্রু শাসকের অন্তর্কলহ। ঘটনা আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের। এর আগে গত ১১ অগস্ট বোর্ড গঠনের কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। তারপর গতকাল, শুক্রবার আবার বোর্ড গঠনের দিন ছিল। আর সেখানেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল বেআব্রু। গতকাল বোর্ড গঠনের বৈঠকের পরই প্রকাশ্যে চলে আসে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর অন্তর্দ্বন্দ্ব। যাঁকে পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, তা মোটেই পছন্দ নয় তৃণমূলের একাংশের। আর তা নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
গতকাল জয়গাঁ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় কমল পাখরিনের নাম। বোর্ড গঠনের বৈঠকে নতুন পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে ওই ব্যক্তির নাম ঘোষণা করেন বিডিও। আর তারপরই এলাকার তৃণমূল নেতা প্রেমা লামা গোষ্ঠীর লোকজন বিক্ষোভ শুরু করেন। বিডিও-কে ঘিরেও একপ্রস্থ বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের একাংশের কর্মী ও সমর্থক। যদিও জয়গাঁ থানার পুলিশকর্মীরা পরে তাঁকে উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে যান।
এদিকে জয়গাঁ-১ অঞ্চলের তৃণমূল নেতা তথা অন্যতম পঞ্চায়েত সদস্য সেসাং লামার দাবি, তিনি যে খামটি খুলেছিলেন, সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে পেমা লামার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মণ সেই খামটি বাদ দিয়ে অন্য একটি খাম থেকে চিরকুট বের করে কমল পাখরিন (লামা)-র নাম প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন।
প্রথমে বিডিও-কে ঘিরে বিক্ষোভ, তারপর তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলার নেতা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার বাড়িতে চলে যান বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা। সেখানেও একপ্রস্থ রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বীরেন্দ্র ওঁরাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। যদিও সেখানে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি গঙ্গাবাবু। এদিকে বিডিও প্রশান্ত বর্মণও বোর্ড গঠন ঘিরে বিক্ষোভ নিয়ে কিছুই এখনও পর্যন্ত বলেননি। এদিকে দাবি মানা না হলে, পঞ্চায়েতের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পেমা-গোষ্ঠীর ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য।
যদিও সদ্য জয়গাঁ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্ব পাওয়া কমল পাখরিন বলছেন, যা হয়েছে দলের নির্দেশমতোই হয়েছে এবং দলের সিদ্ধান্ত সকলকে মানতে হবে। তাঁর দাবি, মুখবন্ধ খামে তাঁর নামই প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। মোট ৩০টি আসনের মধ্যে ১৯টি আসনই তৃণমূলের দখলে। বাকি ১১টি বিজেপির।