Siliguri Municipal Election: ‘শিলিগুড়ির ভোট আলাদা কেন? কোনও পরিকল্পনা নেই তো’, প্রশ্ন অশোক ভট্টাচার্যের
Siliguri: বিরোধীদের বহু প্রশ্ন, বিতর্কের মাঝেই আপাতত কলকাতার পুরভোটপর্ব সমাপ্ত হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার: বকেয়া পুরভোট নিয়ে বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দু’দফায় ভোটের কথা বলা হয়েছে সেখানে। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি ও ২৭ ফেব্রুয়ারিকে প্রাথমিকভাবে ভোটের দিন হিসাবে স্থির করা হয়েছে। হলফনামায় রয়েছে তার উল্লেখও। প্রথম দফার ভোটে উত্তরবঙ্গের একমাত্র শিলিগুড়ি পুরনিগমের কথা বলা হয়েছে। যা নিয়ে সরব শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। এককভাবে এই ভোট করানোর পরিকল্পনায় অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছেন তিনি।
বিরোধীদের বহু প্রশ্ন, বিতর্কের মাঝেই আপাতত কলকাতার পুরভোটপর্ব সমাপ্ত হয়েছে। মেয়র, চেয়ারপার্সন থেকে মেয়র পারিষদদের নামও ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবার। এবার নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধছে বকেয়া পুরভোট নিয়ে। এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি হলফনামা দাখিল করে জানিয়েছে, দু’দফায় বকেয়া ভোট করাতে চায়। প্রথম দফায় ২২ জানুয়ারি হাওড়া, চন্দননগর, বিধাননগর, শিলিগুড়ি ও আসানসোলে ভোট করানোর কথা বলা হয়েছে। ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি বাকি পুরসভাগুলির ভোট হবে।
এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র। অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “প্রথম থেকেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছি আমরা। শিলিগুড়িতে ধারাবাহিকভাবে আমরা আন্দোলনও করছি। গত ৬ তারিখ রাত দিন অবস্থানের কর্মসূচিও ছিল আমাদের। এখন নির্বাচনটার কথা বলা হয়েছে। আমাদের একটাই প্রশ্ন, হঠাৎ শিলিগুড়িটাকে ২২ তারিখ করে বাকিগুলো ২৭ তারিখ কেন করা হল?”
এরপরই সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, “তা হলে কি সরকারের কোনও আলাদা পরিকল্পনা আছে? সমস্ত জায়গার লোক নিয়ে এসে শিলিগুড়িতে চাপ সৃষ্টি করতে হবে, এরকম কোনও উদ্দেশ্য আছে কি? আমরা তো নির্বাচনের জন্য তৈরি আছি। ভোটে আমরা লড়ব। প্রার্থী নিয়েও আমরা অনেকটাই এগিয়ে আছি। কিন্তু হঠাৎ শিলিগুড়িতে আলাদা করে ভোট কেন? সন্দেহ হচ্ছে। আসলে কলকাতা কর্পোরেশনে যা করেছে তাতে এদের উদ্দেশ্য তো সৎ বলে মনে হয় না আমার। তবে যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আমরা তৈরি আছি।”
একইসঙ্গে কলকাতায় বামেদের ভোটের ফল প্রসঙ্গে অশোক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, “এই ভোট যদি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ হোত, হা হলে আমাদের ফল আরও ভাল হোত। আমি তো এখনও বলছি পশ্চিমবঙ্গের পুরসভাগুলিতে স্বচ্ছ ভোট যদি হয়, যেমন ২০১৫ সালে শিলিগুড়িতে ফেয়ার ইলেকশন হয়েছিল, আমরা জিতেওছিলাম। কলকাতায় হলে আমরা ৪০-৫০টা সিট পেতাম।” শিলিগুড়িতে আলাদা ভোট হলেও গণনা একসঙ্গে করতে হবে, দাবি তুলছে সিপিএম।
আরও পড়ুন: KMC Election 2021: এবার জিতে মেয়র হলেন ফিরহাদ হাকিম! ডেপুটি অতীনই, চেয়ারম্যান মালা