Darkeshwar River: দ্বারকেশ্বর গিলছে বিঘের পর বিঘে জমি! বৃষ্টি শুরু হতেই বালির বস্তা নিয়ে হাজির প্রশাসন, ‘এভাবে আর ক’দিন?’ প্রশ্ন গ্রামবাসীদের
Darkeshwar River: বাঁকুড়ার ভাদুল গ্রামের মেটেপাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে দারকেশ্বর নদ। একসময় গ্রাম থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূর দিয়ে বয়ে যেত দারকেশ্বর নদ। কিন্তু গ্রামের অদূরে নদীখাতের বাঁকের কারণে মাঝখানে চর পড়তে শুরু করে।

বাঁকুড়া: দারকেশ্বর নদের লাগাতার ভাঙনে ইতিমধ্যেই হারিয়ে গেছে বিঘের পর বিঘে জমি। ধীরে ধীরে নদ এগিয়ে এসেছে গ্রামের কাছে। ক্ষোভ বেড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। আঁচ পেয়ে তড়িঘড়ি বালির বস্তা দিয়ে পাড় বাঁধার কাজ শুরু করল প্রশাসন। কিন্তু, কাজ শুরু হলেও যেন ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ল একটা সিদ্ধান্তেই। কংক্রিট বা বোল্ডার দিয়ে পাড় না বেঁধে, শুধুমাত্র বালির বস্তা দিয়ে এভাবে নদীর পাড় বাঁধা মানতে পারছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, পুরোটাই লোক দেখানো। দু’দিনও যাবে না, ফের ভেঙে যাবে বাঁধ। ঘটনা বাঁকুড়ার ভাদুল গ্রামের মেটেপাড়া এলাকার।
বাঁকুড়ার ভাদুল গ্রামের মেটেপাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে দারকেশ্বর নদ। একসময় গ্রাম থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূর দিয়ে বয়ে যেত দারকেশ্বর নদ। কিন্তু গ্রামের অদূরে নদীখাতের বাঁকের কারণে মাঝখানে চর পড়তে শুরু করে। চরে ধাক্কা খেয়ে জলের স্রোত বইতে শুরু করে গ্রাম লাগোয়া পাড় দিয়ে। আর তাতেই ধসতে শুরু করে গ্রাম লাগোয়া নদের পাড়। স্থানীয়দের দাবি, বছরের পর বছর ধরে বর্ষায় নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে মাঝের ৫০০ মিটার এলাকা ইতিমধ্য়েই চলে গিয়েছে নদের গর্ভে। হারিয়ে যায় নদের পাড়ে থাকা বিঘের পর বিঘে তিন ফসলী জমি। চিন্তায় ঘুম উড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। নদ পাড় যেভাবে ভাঙতে ভাঙতে গ্রামের পাশে চলে এসেছে তাতে এবার গ্রামের বাড়ি ঘর নদের গর্ভে হারানোর আশঙ্কা তাড়া করতে শুরু করে গ্রামবাসীদের। প্রশাসনের তরফে পাড় বাঁধার ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকার মানুষের ক্ষোভ উত্তরোত্তর বাড়তে শুরু করে। সেই আঁচ পেয়ে বর্ষার আগে প্রশাসনের তরফে মেটেপাড়া লাগোয়া এলাকায় দারকেশ্বর নদের একশো মিটার পাড় বালির বস্তা দিয়ে বাঁধানোর কাজ শুরু হয়। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না এলাকার লোকজন।
গ্রামবাসীদের দাবি, বালির বস্তা দিয়ে যেভাবে পাড় বাঁধা হচ্ছে তাতে কোনওভাবেই ভাঙন রোধ সম্ভব নয়। পাকা কংক্রিট ও বোল্ডার দিয়ে পাড় বাঁধা হলে কিছুটা কাজ হতে পারে। শুধু তাই নয়, নদের গর্ভে থাকা বালির চর ড্রেজিং করলে তবেই ভাঙনের স্থায়ী সমাধান সম্ভব বলে মত তাঁদের। সেচ দফতরের দাবি, দফতরের ইঞ্জিনিয়রদের পরামর্শ মেনে আপাতত ভাঙন রোধে বালির বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। পরবর্তীতে চর ড্রেজিং ও কংক্রিটের পাড় বাঁধার জন্য ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান হবে।
