Bankura: খেলার ছলে শিখেছিল একটা কৌশল, তাতেই মুমূর্ষ মায়ের প্রাণ বাঁচাল দুই বোন
Bankura: কোনও চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই এভাবে হাইমলিখ কৌশল প্রয়োগ করে নিজের মা-এর প্রাণ রক্ষা করতে পারায় খুশি দুই মেয়ে বৃষ্টি ও চতুর্থী। মেয়েদের হাতে প্রাণ ফিরে পেয়ে খুশি মৌসুমীও। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদি সমিতির বিশেষজ্ঞের দাবি, এভাবে গলার শ্বাসনালীতে কিছু আটকে গেলে সেই সময় হাতে সময় থাকে মাত্র চার মিনিট।
বাঁকুড়া: ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংগঠনের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে হাইমলিখ কৌশল শিখেছিলেন বাঁকুড়ার সোনামুখী কলেজের পড়ুয়া দুই বোনা বৃষ্টি ও চতুর্থী মুখোপাধ্যায়। খেলার ছলে শেখা সেই কৌশলই যে নিজের মায়ের প্রাণ বাঁচাবে তা ভাবতেই পারেননি ওই দুই বোন। শনিবার বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের পাথরমোড়া গ্রামের বৃষ্টি ও চতুর্থীর মা মৌসুমীর গলায় আচমকাই আটকে যায় চকোলেট। এই চকোলেট গলায় গিয়ে আটকে দেয় শ্বাসনালী। কথা আটকে যাওয়ায় নিজের কষ্টের কথাও বলতে পারছিলেন না মৌসুমী। হাইমলিখ কৌশলের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়া কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বৃষ্টি ও চতুর্থীর বুঝতে কষ্ট হয়নি ঘটনা কী হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দুই মেয়ে মা-এর উপর প্রয়োগ করেন হাইমলিখ কৌশল। অল্প কিছুক্ষণ সেই কৌশল প্রয়োগ করতেই মৌসুমীর গলা থেকে চকোলেট বেরিয়ে আসে। আর এতেই প্রাণে বেঁচে যান মৌসুমী।
কোনও চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই এভাবে হাইমলিখ কৌশল প্রয়োগ করে নিজের মা-এর প্রাণ রক্ষা করতে পারায় খুশি দুই মেয়ে বৃষ্টি ও চতুর্থী। মেয়েদের হাতে প্রাণ ফিরে পেয়ে খুশি মৌসুমীও। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদি সমিতির বিশেষজ্ঞের দাবি, এভাবে গলার শ্বাসনালীতে কিছু আটকে গেলে সেই সময় হাতে সময় থাকে মাত্র চার মিনিট। সেক্ষেত্রে হাসপাতালে বা কোনও চিকিৎসকের কাছে রোগীকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগ থাকে না। সেক্ষেত্রে অব্যর্থ কাজ করে এই সহজ হাইমলিখ কৌশল। হাইমলিখ কৌশল স্থানীয় এলাকায় একের পর এক মানুষের প্রাণ বাঁচানোয় অবিলম্বে এই কৌশলের আরও ব্যপক প্রচার ও প্রসারের উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি। হাইমলিখ কৌশল হল যখন গলায় কিংবা শ্বাসনালীতে কিছু জিনিস আটকে যায়, তখন অসুস্থ ব্যক্তির পিছনে দাঁড়াতে হয়। তাঁর দুটো পায়ের ফাঁকের মাঝে সাহায্যকারী ব্যক্তির ডান পা এগিয়ে দিতে হয়। এরপর সাহায্যকারী ব্যক্তি অসুস্থ ব্যক্তির তলপেট দু’হাত দিয়ে পিছন থেকে জাপটে ধরবেন। পেটে নীচ থেকে ওপরের দিকে চাপ দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না মুখ থেকে শ্বাসনালিতে আটকে যাওয়া জিনিস না বেরোয়।