Bankura TMC: ‘যে কাউন্সিলর নিজের এলাকায় দলকে জেতাতে পারবেন না, পুর নির্বাচনে তিনি টিকিট পাবেন না’
Bankura: দলকে জেতাতে না পারলে এলাকার নেতাদের পদ যেমন যাবে, তেমনই পরের নির্বাচনে দলীয় টিকিট মিলবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করলেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। বিজেপির কটাক্ষ ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই এমন মন্তব্য করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

বাঁকুড়া: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। সেই নির্বাচনে নিজের-নিজের এলাকায় দলকে জেতাতে এবার জনপ্রতিনিধি ও দলের নেতাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিল তৃণমূলের বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। দলকে জেতাতে না পারলে এলাকার নেতাদের পদ যেমন যাবে, তেমনই পরের নির্বাচনে দলীয় টিকিট মিলবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করলেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। বিজেপির কটাক্ষ ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই এমন মন্তব্য করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে তৃণমূলের সব থেকে খারাপ ফল হয়েছিল বাঁকুড়া জেলায়। ১২ টি আসনের মধ্যে ৮ টিতে জয় পেয়েছিল বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনেও জেলার ২ টি আসনের মধ্যে বিষ্ণুপুর আসনে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। এবার তাই ২০২৬ এ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মরিয়া লড়াইয়ে নামতে চাইছে তৃণমূল। আর সেই লক্ষ্যেই উৎসবের মরশুম মিটতে না মিটতেই জেলার বিভিন্ন ব্লক ও শহরের বিজয়া সম্মিলনীর বিভিন্ন মঞ্চ থেকে দলের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে দলের নিচু স্তরের নেতাদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের জেলা নেতা থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতৃত্বকে।
গতকাল বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, “নিজের এলাকায় দলকে জেতাতে হবে। তবেই সে পদে থাকতে পারবে। না হলে দল বা জনপ্রতিনিধির পদে বসে থেকে দাদাগিরি করতে দেওয়া হবে না।” আবার বাঁকুড়া শহরের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তৃণমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী পুরসভার কাউন্সিলারদের উদ্দেশ্য করে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যে কাউন্সিলর নিজের এলাকায় দলকে জেতাতে পারবে না সেই কাউন্সিলর আগামী পুর নির্বাচনে টিকিট পাবেন না।”
বিজয়া সম্মিলনীর একাধিক মঞ্চ থেকে তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তারাশঙ্কর রায়ও দলের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিজেপির দাবি গোষ্ঠীদ্বন্দে জর্জরিত তৃণমূলকে এখন হারের আতঙ্ক গ্রাস করেছে। তাই এই ধরনের কথা বলে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল।
