Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Court Order: জোড়া খুন করে পুঁতেছিল উঠোনে, পুলিশ ধরলেও জামিনে মুক্ত হয়েও ফেরার! শেষ পর্যন্ত যাবজ্জীবন শ্রীঘরেই থাকতে হচ্ছে দম্পতিকে

Court Order: বাড়ির উঠোনে লেবু গাছের তলায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় দু’টি মৃতদেহ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত দম্পতিকে। কিন্তু, একবছরের মাথায় অভিযুক্ত দম্পতি আদালত থেকে জামিন পেতেই ফেরার হয়ে যায়। এরফলে জোড়া খুনের মামলা থমকে যায় আদালতে। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে সন্ধানের পর ২০২২ সালের অগস্ট মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর এলাকা থেকে পলাতক দম্পতিকে ফের গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে পুলিশ।

Court Order: জোড়া খুন করে পুঁতেছিল উঠোনে, পুলিশ ধরলেও জামিনে মুক্ত হয়েও ফেরার! শেষ পর্যন্ত যাবজ্জীবন শ্রীঘরেই থাকতে হচ্ছে দম্পতিকে
কড়া সাজা শোনাল আদালত Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 20, 2025 | 9:00 PM

জয়পুর: সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে নিজের দেড় বছরের ভাইঝি ও ভ্রাতৃবধূকে খুন করে বাড়ির উঠোনে পুঁতে দিয়েছিল এক দম্পতি। ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল বাঁকুড়ার জয়পুর থানার মাধবপুরের সেই নৃশংস জোড়া খুনের ঘটনায় এবার অভিযুক্ত দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিল আদালত। 

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়পুর থানার মাধবপুর গ্রামে দাদা প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল ভাই সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের। ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল আচমকাই নিজের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ভাই সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মমতা ও দেড় বছরের কন্যা সন্তান অনন্যা। দীর্ঘ সময় খোঁজ চালানোর পরেও স্ত্রী ও কন্যার সন্ধান না মেলায় পরের দিন জয়পুর থানায় অভিযোগ জানান সন্দীপ। তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ হয় সন্দীপের দাদা প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  ও বৌদি অনিতার চট্টোপাধ্যায়ের উপর। দাদা ও বৌদিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ জেরার পর ওই দম্পতি খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। 

বাড়ির উঠোনে লেবু গাছের তলায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় দু’টি মৃতদেহ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত দম্পতিকে। কিন্তু, একবছরের মাথায় অভিযুক্ত দম্পতি আদালত থেকে জামিন পেতেই ফেরার হয়ে যায়। এরফলে জোড়া খুনের মামলা থমকে যায় আদালতে। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে সন্ধানের পর ২০২২ সালের অগস্ট মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর এলাকা থেকে পলাতক দম্পতিকে ফের গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন তথ্য, প্রমাণ ও সাক্ষ্য গ্রহণ চলে আদালতে। এদিন ওই দম্পতিকে জোড়া খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতিকে জোড়া খুনের জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। একই সঙ্গে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে দম্পতিকে সাত বছর কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাদন্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে আদালতের এই রায়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় মৃতা মমতা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী তথা অনন্যার বাবা সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, নৃশংস এই ঘটনায় দোষীদের মৃত্যুর সাজা দেওয়া দরকার ছিল।