বাঁকুড়া: হাতির (Elephant) দাপটে অতিষ্ঠ সকলে। কখনও বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে। কখনও শস্য নষ্ট করছে। আর এইবার হাতির হামলায় প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। দাঁতালের দলকে তাড়াতে গিয়েই মৃত্যু হল হুলা পার্টির ওই সদস্যের। ঘটনায় গুরুতর জখম আরও একজন। আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী রেঞ্জের রাঙাকুল জঙ্গলে।
বনদফতর সূত্রে খবর, সোনামুখী রেঞ্জের পাটসোল জঙ্গলে ৬টি, পাথরার জঙ্গলে ৭ টি ও ইন্দকাটার জঙ্গলে ১ টি মিলিয়ে মোট ১৪ টি হাতি রয়েছে। হুলা পার্টির অনিচ্ছা সত্ত্বেও সোমবার সকালে হাতিগুলিকে একত্রিত করে সেগুলিকে বাঁকুড়া থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় বন দফতর।
জানা গিয়েছে, হাতিগুলিকে যখন একত্রিত করার চেষ্টা চালাচ্ছিল হুলা পার্টি, সেই সময় রাঙাকুলের জঙ্গলের কাছে চারটি হাতি পাল্টা তাড়া করতে শুরু করে হুলা পার্টির সদস্যদের। তখনই ঘটে অঘটন। এই সময় হুলা ছুড়েও হাতিগুলির গতিরোধ করা যায়নি। পরে ওই চারটি হাতির হানাতেই মৃত্যু হয় গুরুদাস মুর্মু নামের হুলা পার্টির এক সদস্যর। আহত হন মৃতের পরিবারেরই অপর সদস্য মনীন্দ্র মুর্মু। উভয়েরই বাড়ি বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার চালথা গ্রামে।
আহত মণীন্দ্র মুর্মুকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃত ও আহত ব্যক্তিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে বনদফতর। হুলা পার্টির দাবি, দিনের বেলাতে হাতি তাড়ানোর কাজ করতে যাওয়াতেই এই বিপত্তি ঘটেছে।
হুলা পার্টির এক সদস্য বলেন, “দু’বার ওরা আমাদের তাড়া করেছিল। আমারা বারবার বলেছিলাম যে হাতিগুলিকে একত্রিত করতে না তবে ওরা কোনও বনদফতর কোনও কথা শোনেনি। এরপরই আহত হয় একজন।”