Bankura: মন্ত্রীর স্বামীর গায়ে হাত! দুষ্কৃতীদের খোঁজে মাঝরাতে BJP-র জেলা কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
Bankura: অন্যান্য দিনের মতো শনিবার রাতেও দলীয় কার্যালয়ের মূল গেটে তালা বন্ধ করে দলের নেতা-কর্মীরা বাড়ি চলে যান। রাত ২ টা নাগাদ বিজেপি কর্মীরা স্থানীয় সূত্রে খবর পান বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই দলীয় কার্যালয়ের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালাচ্ছে।

নতুনগঞ্জ: কোনওরকম আগাম তথ্য না দিয়ে গভীর রাতে দরজার তালা ভেঙে বিজেপির দলীয় জেলা কার্যালয়ে হানা। ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে রাতেই দলীয় কার্যালয়ে হাজির হয়ে পুলিশের এই আচরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাঁকুড়ার নতুনগঞ্জ। রাত দু’টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার নতুনগঞ্জে থাকা বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই বাঁকুড়া শহরের নতুনগঞ্জ এলাকায় বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন ছিল। এদিকে অন্যান্য দিনের মতো শনিবার রাতেও দলীয় কার্যালয়ের মূল গেটে তালা বন্ধ করে দলের নেতা-কর্মীরা বাড়ি চলে যান। রাত ২ টা নাগাদ বিজেপি কর্মীরা স্থানীয় সূত্রে খবর পান বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই দলীয় কার্যালয়ের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালাচ্ছে। খবর পেতেই স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে ছুটে আসেন। বিজেপি কর্মীরা কার্যালয়ে জড়ো হতেই রণে ভঙ্গ দেয় পুলিশ। এলাকা ছেড়ে পুলিশ চলে যায়। গভীর রাতে কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর প্রতিবাদে দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
জানা গিয়েছে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে একযোগে হানা দিয়েছিল বাঁকুড়া সদর থানা ও খাতড়া থানার পুলিশ। তবে কী কারণে তারা এভাবে কাউকে কিছু না জানিয়ে গভীর রাতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালাল তা এখনও জানা যায়নি। বিজেপির একাংশের ধারণা শুক্রবার রাতে খাতড়ায় আক্রান্ত হন রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডি। সেই ঘটনায় যুক্তদের খোঁজেই পুলিশ বিজেপির এই দলীয় কার্যালয়ে হানা দিয়ে থাকতে পারে। পুলিশের এই আচরণের প্রতিবাদে আজ বাঁকুড়া শহরে বড়সড় আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। ক্ষোভে ফুঁসছেন বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, “খাতড়ায় তুহিন মান্ডির উপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত বাঁকুড়ার বিজেপি কার্যালয়ে আত্মগোপন করে আছে এমন খবর আমাদের কাছে ছিল। আমরা তাঁদের গ্রেফতার করতে সেখানে যাই। দলীয় কার্যালয়ের দরজায় থাকা তালা ভেঙে পুলিশ ভিতরে ঢোকে। কিন্তু কোনও আসবাব ভাঙচুর করা হয়নি। গোটা বিষয়টির ভিডিওগ্রাফি করা আছে। এর মাঝেই বেশ কিছু লোকজন সেখানে জমায়েত করে পুলিশের কাজে বাধা দেয়। আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছি।”
