Bankura: স্কুল পালিয়ে বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেগুলো গিয়েছিল শিবমন্দির লাগোয়া ঘাটে, সেখানেই অর্কদীপ, সায়নরা যা দেখল শিউরে উঠল
Bankura: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ৮ থেকে ১০ জন পড়ুয়া স্কুল পালিয়ে ষাড়েশ্বর শিব মন্দির লাগোয়া দারকেশ্বর নদের ষাড়েশ্বর ঘাটে যায়। দুপুর একটা নাগাদ সাইকেলে করে পৌঁছয় সেখানে।

বাঁকুড়া: দ্বারকেশ্বর নদের সুভাষপল্লী ষাড়েশ্বর নদী ঘাটে গিয়েছিল বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেগুলো। স্কুল পালিয়ে সেখানে গিয়েছিল তারা। কিন্তু পাড়ে বসে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকতে হবে কেউ ভাবতেও পারেনি। দ্বারকেশ্বর নদে স্নান করতে নেমে জলের তোড়ে ভেসে গেল নবম শ্রেণির তিন পড়ুয়া। বাকি বন্ধুরা তা দেখে কার্যত শিউরে উঠল। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার ষাড়েশ্বর ঘাটে। খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই তল্লাশি শুরু করেন। পরে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ নিখোঁজ পড়ুয়াদের সন্ধান শুরু করে। এরপর ঘটনাস্থলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। স্পিড বোট নামিয়ে নদীতে শুরু হয় তল্লাশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ৮ থেকে ১০ জন পড়ুয়া স্কুল পালিয়ে ষাড়েশ্বর শিব মন্দির লাগোয়া দারকেশ্বর নদের ষাড়েশ্বর ঘাটে যায়। দুপুর একটা নাগাদ সাইকেলে করে পৌঁছয় সেখানে।
অন্যান্যরা পাড়ে বসে থাকলেও অর্কদীপ দাস, সায়ন চট্টোপাধ্যায় ও পরমেশ্বর মিশ্র নামের তিন পড়ুয়া দ্বারকেশ্বরে স্নান করতে নামে। নদীতে নামতেই প্রবল স্রোতে ভেসে যেতে থাকে তারা। তলিয়ে যেতে থাকে ওই তিন পড়ুয়া। এই ঘটনা দেখে নদের পাড়ে থাকা বন্ধুরা চিৎকার করতে শুরু করে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। নিখোঁজ তিন পড়ুয়ার খোঁজ শুরু করে। পরে খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী হাজির হয়। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর লোকজন স্পিড বোট নিয়ে নদীজুড়ে তল্লাশি শুরু করলেও নিখোঁজ তিন পড়ুয়ার এখনও (সন্ধে ৬টা) পর্যন্ত কোনও সন্ধান মেলেনি। এ দিকে, সময় যত যাচ্ছে ততই উদ্বেগ বাড়ছে নিখোঁজ ওই তিন পড়ুয়ার পরিবারের।
নিখোঁজ পড়ুয়ার বাবা চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ছেলে স্কুল থেকে বেরিয়েই নদীতে গেছে। ষাড়েশ্বর ঘাটে ছিল। এখনও ছেলেকে পাওয়া যায়নি। জানি না….আর কিছু বলতে পারব না।”

