TMC-BJP: দায়িত্ব নিয়েই ‘ওষুধ’ দেওয়ার কথা বলছেন নতুন জেলা সভাপতি, পাল্টা ‘দুর্নীতির’ কথা মনে করাচ্ছে বিজেপি
TMC-BJP: সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মতো বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলাতেও সভাপতি পদে রদবদল করা হয়েছে। জেলা সভাপতির পদ থেকে সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীকে সরিয়ে সেই পদে বসানো হয়েছে তারাশঙ্কর রায়কে। তা নিয়ে চর্চা জারি রয়েছে।

বাঁকুড়া: কয়েকদিন আগেই হয়েছে বড়সড় রদবদল। অরূপ চক্রবর্তীর জায়গায় তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে তারাশঙ্কর রায়কে। দায়িত্ব নিয়েই বলেন ‘ওষুধ দেওয়ার’ কথা। পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়ল না বিজেপি।
সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মতো বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলাতেও সভাপতি পদে রদবদল করা হয়েছে। জেলা সভাপতির পদ থেকে সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীকে সরিয়ে সেই পদে বসানো হয়েছে তারাশঙ্কর রায়কে। ভোটের মুখে কেন সরানো হল অরূপকে তা নিয়ে অন্য়ান্য শিবিরের পাশাপাশি দলের অন্দরেও জোরদার তরজা চলছে। এদিকে নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর মঙ্গলবার বাঁকুড়ার তালডাংরায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত একটি কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে দেখা যায় তারাশঙ্করকে। সেখানেই কর্মীদের উদ্দেশ্যে স্পষ্টতই বলেন, “যে বদমায়েশি করবে তার ওষুধ আমার কাছে আছে।”
এরপরই আচমকা বলেন, “দল যদি মনে করে আমার থেকেও শক্তিশালী কেউ এই চেয়ারটার যোগ্য তাহলে আমি এই পদ ছেড়ে দিতে রাজি।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের মত তারাশঙ্করের এ মন্তব্য়েই স্পষ্ট তাঁর নতুন পদপ্রাপ্তি নিয়ে তিনি নিজেই অস্বস্তিতে আছেন। দলের অন্দরেও যে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতামত উঠে আসছে তাও ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে। তারাশঙ্কর যদিও বলছেন, কর্মীদের জন্যই নেতা তৈরি হয়। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাই কর্মীদেরই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথাই এদিন বারবার শোনা যায় তার মুখে। তবে তৃনমূলের জেলা সভাপতির এই বক্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। তা সভাপতি ভালমতোই জানেন।”





