বীরভূম: বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। কিন্তু বীরভূম থেকে নজর ঘোরাচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফের বীরভূমে ইডির নজরে প্রায় ১৫০ জন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, কেষ্টর দিল্লিযাত্রীর পর পরই প্রথম পর্যায়ে ১২০ জনকে নজরে রেখে তথ্য তলব করা শুরু হয়েছিল। এবার আরও ১৫০ জন কেন্দ্রীয় সংস্থার স্ক্যানারে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, এই সবের মধ্যে একটি চাপা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে শাসক দলের একাংশের অন্দরে।
জানা যাচ্ছে, তদন্তে নেমে এবার বীরভূমের দিকে আরও নজর দিচ্ছে ইডি। দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের নজর পড়েছে অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ মহলে। জানা যাচ্ছে, এদের মধ্যে জেলা তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের নেতাকর্মী রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন একাধিক সরকারি আধিকারিক, কর্মী, পুলিশকর্মী, ব্যবসাদার, প্রোমোটার, হোটেল মালিক, জমি ব্যবসায়ী, ট্রান্সপোর্ট মালিক, জেলা পরিষদের আধিকারিক এবং এমনকী জনপ্রতিনিধির নামও নাকি রয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ও।
কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতা প্রসঙ্গে টিভি নাইন বাংলাকে মলয় মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘বিজেপির লক্ষ্য যে কোনও উপায়ে বাংলা দখল করার। সেই লক্ষ্যেই তারা এসব করছে। কারণ, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও প্রমাণ পায়নি। ১২০ জনকে তো ডেকেছেই, আরও ১৫০ জনের নাম আছে আমার কাছে, যাঁদের নোটিস পাঠিয়েছে।’ তৃণমূল জেলা সহসভাপতির বক্তব্য, মানুষকে নাজেহাল করার জন্যই এসব করছে তারা।
সিপিএম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ অবশ্য গোটা বিষয়টি নিয়ে শাসক দলকে তোপ দেগেছেন। তাঁর বক্তব্য, এরা হল এজেন্ট। বড় মাথাদের না ধরা হলে এসব বন্ধ করা যাবে না বলেই টিভি নাইন বাংলাকে জানাচ্ছেন তিনি।