AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bagtui Massacre: বগটুইয়ে দমকল ঢুকেছিল রাত ১০.২৬ নাগাদ! তারপরও কেন এত সময় লাগল আগুন নেভাতে?

CCTV Footage of Bagtui: যে রাস্তার ধারে সিসিটিভি ফুটেজটি পাওয়া গিয়েছে, সেটি রামপুরহাট থেকে বগটুইয়ের দিকে যাওয়ার রাস্তা। সিসিটিভি ফুটেজটিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, গ্রামের দিকে যাচ্ছে দমকল বাহিনী, পুলিশ।

Bagtui Massacre: বগটুইয়ে দমকল ঢুকেছিল রাত ১০.২৬ নাগাদ! তারপরও কেন এত সময় লাগল আগুন নেভাতে?
বগটুইয়ের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ
| Edited By: | Updated on: Apr 23, 2022 | 4:26 PM
Share

বগটুই : বগটুই হত্যাকাণ্ডের (Bagtui Massacre) চাঞ্চল্যকর সিসিটিভি ফুটেজ এবার TV9 বাংলার হাতে। হত্যাকাণ্ডের ঠিক পরের মুহূর্তের ওই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে গ্রামের দিকে ঢুকছে দমকল। আর অন্যদিকে কিছু সাধারণ মানুষ এলাকা থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করছেন। যে রাস্তার ধারে সিসিটিভি ফুটেজটি পাওয়া গিয়েছে, সেটি রামপুরহাট থেকে বগটুইয়ের দিকে যাওয়ার রাস্তা। সিসিটিভি ফুটেজটিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, গ্রামের দিকে যাচ্ছে দমকল বাহিনী, পুলিশ। ফুটেজের সময় অনুযায়ী, রাত ১০ টা ২০ মিনিট থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে এই দমকলের গাড়ি ওই এলাকা পার করেছে।

উল্লেখ্য, বগটুইয়ের হত্য়াকাণ্ডে শুরু থেকেই একটি অভিযোগ উঠছিল পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অনেকেই বলছিলেন, পুলিশ অনেক আগেই জানতে পেরেছিল কখন এই আগুন লাগানো হয়েছিল। অভিযোগ উঠছিল, পুলিশের কাছে খবর থাকার পরেও সেই সময় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সেই প্রশ্নকেই আবার উস্কে দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন আগুন নেভাতে পরের দিন সকাল পর্যন্ত সময় লাগল? তাহলে কি দমকল বাহিনীকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল? তাহলে কি সত্যিই ঘটনাস্থলে পৌঁছেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দমকল ও প্রশাসন?

বগটুই এর অগ্নিসংযোগের ঘটনার দিন কখন দমকল ঢুকল সেই চিত্র স্পষ্ট সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে। এর পাশাপাশি কিছু মানুষকে পালাতেও দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বগটুইয়ের গ্রামে ওই ভয়ঙ্কর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল রাত ৯ টার পর। তারপর ১০.২১ নাগাদ দমকলের ইঞ্জিন রামপুরহাট থেকে বগটুই গ্রামের দিকে ঢুকতে দেখা যাচ্ছে। তাহলে কেন এতটা সময় লেগে গেল? এদিকে ওদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিহিলাল শেখ, সেকলাল শেখরা বার বার অভিযোগ করছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। সেই অভিযোগকেই আরও কিছুটা উস্কে দিল এই সিসিটিভি ফুটেজ।

এই বিষয়ে সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “বগটুইয়ের ঘটনায় সবাই বুঝে গিয়েছে, উদ্ধার করতে যারা যাবে, তারা তখন পাশের কোনও একটি বাংলোতে মিটিং করেছে। যাতে উদ্ধারকাজের থেকে তাঁদের নিজেদের বোঝাপড়া করাটা বেশি জরুরি ছিল। এদিকে দমকল যাওয়ার পরেও বহুক্ষণ ধরে আগুন জ্বলছে। তাহলে কি দমকলকে আটকে দেওয়া হল? কে আটকে দিল? তৃণমূলের কোন নেতার কথায় আটকে দিল? এই প্রশ্নগুলিই উঠছে এবং আশা করব তদন্তে এগুলি স্পষ্ট হবে।”

আরও পড়ুন : Jangal Mahal: ‘তৃণমূল নেতার সঙ্গে খেলবে মাওবাদী’ জঙ্গলমহলে হাই এলার্টের মধ্যেই পোস্টার ঝাড়গ্রামে