Kajal-Anubrata: কাজলের ‘তরমুজ’ কটাক্ষ, নিশানায় কেষ্ট?
Kajal-Anubrata: সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও নাম না করেই অনুব্রত শিবিরের উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন কাজল। খোঁচা দিয়েই বলেন, “কোর কমিটির বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের প্রত্যেককেই আমন্ত্রণ আমি জানিয়েছিলাম। বিকাশ রায়চৌধুরীর মাধ্যমে বাকিদেরও আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বলেছিলাম।”

নানুর: তরজার অন্ত নেই। বিগত কয়েক মাসে বীরভূমে কাজল বনাম অনুব্রতর ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’ একেবারে অন্যমাত্র পেয়েছে। এবার ফের একবার আক্রমণে কাজল। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের মত, আসলে নাম না করে অনুব্রত অনুগামীদেরই একহাত নিলেন কাজল শেখ। তরমুজ বলেও দাগলেন তোপ। কাজলের সাফ কথা, নির্বাচনের সময় যারা পাঁচিলে চেপে দেখছিল দলটা থাকবে কিনা, তাদের আর পাঁচিল থেকে নামতে দেব না। শনিবার বীরভূমের নানুর ব্লকের অন্তর্গত পাপুড়ি গ্রামে শহীদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, কাজল শেখ-সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে অনুব্রত অনুগামীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কাজল।
কাজলের সাফ কথা, “বীরভূম জেলার বুকে তৃণমূলের যত নেতা-কর্মী আছেন তাঁদেরকে বলব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণ করে চলুন। তৃণমূল তরমুজ পার্টি হলে চলবে না। উপরটা সবুজ ভেতরটা লাল হলে চলবে না। আমি একুশের নির্বাচন দেখেছি, তেইশের নির্বাচন দেখেছি, চব্বিশেরও দেখেছি। দেখেছি অনেকে পাঁচিলে উঠে বসেছিল। ভাবছিল তৃণমূল দলটা থাকবে না যাবে। সজাগ থাকুন সতর্ক থাকুন। যারা পাঁচিলে চেপেছিল তাদের দিকে লক্ষ্য রাখুন। ছাব্বিশের নির্বাচন এলে তারা আবার পাঁচিলে উঠবে। কিন্তু, নির্বাচনের পর পাঁচিলেই রাখব, নামতে দেব না। এই সংকল্প আমাদের নিতে হবে।”
পরবর্তী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও নাম না করেই অনুব্রত শিবিরের উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন কাজল। খোঁচা দিয়েই বলেন, “কোর কমিটির বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের প্রত্যেককেই আমন্ত্রণ আমি জানিয়েছিলাম। বিকাশ রায়চৌধুরীর মাধ্যমে বাকিদেরও আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বলেছিলাম। যাঁরা আসেননি তারা বোধহয় শহীদদের ভুলে গিয়েছেন।” এখানেই না থেমে তাঁর আরও সংযোজন, “তাঁরা আসবেন কী আসবেন না তাতে কিছু যায় আসে না। ওটা আমাদের কাছে ফ্যাক্টর নয়।”





