সিউড়ি: সন্তান প্রসবের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তীব্র রক্তক্ষরণ। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন প্রসূতি। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই অকাল চলে যেতে হল তাঁদের মেয়েকে। মৃতার নাম মৌমিতা সাহা গড়াই (২৬)। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেন মৌমিতা দেবী। প্রসবের পরেই করা হয় লাইগেশন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন লাইগেশনের পরেই ওই মহিলার মারাত্মক রক্তক্ষরণ শুরু বয়। তা আর থামানো সম্ভব হয়নি। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ওই মহিলা। এ ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিবারের সদস্যরা।
বিক্ষোভও শুরু হয় হাসপাতালে। যে চিকিৎসকেরা ওই মহিলার চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের গাফিলতিতেই মৌমিতা দেবীর মৃত্যু হয়েছে, এই দাবিই করছেন পরিবারের সদস্যরা। সিউড়ি সদর হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে অভিযোগপত্রও জমা দিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিও করেছেন। একইসঙ্গে সিউরি থানায় জানানো হয়েছে অভিযোগ। সেখানে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ময়নাতদন্তের দাবিও তোলা হয় পরিবারের তরফে।
এদিকে এরইমধ্যে ময়নাতদন্ত হলেও চিকিৎসায় গাফিলতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই প্রসূতির পরিবারের তরফে তা অস্বীকার করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার জানাচ্ছেন যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলেছে তা ভাল করে খতিয়ে দেখা হয়েছে। কোনও ভুল ধরা হয়নি। কিন্তু, চিকিৎকদেরই নিতে হবে সদ্যজাতের দায়িত্ব। ঘটনার পর এই দাবিও তোলা হয়েছে প্রসূতির পরিবারের তরফে। পরিবারের এক সদস্য জানাচ্ছেন, “আমাদের মনে হচ্ছে লাইগেশনের সময় সমস্যার জন্য ওর মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তাদের গাফিলতিতেই এ ঘটনা ঘটেছে। মেয়েটা তো চলে গেল, এখন ছেলেটাকে তো বাঁচাতে হবে। আমরা চাই ডাক্তারবাবুরা ওর ভরপোষণের দায়িত্ব নিক।”