TMC Group Clash: নেপথ্যে সেই গোষ্ঠী কোন্দল, লাঠির আঘাতে তৃণমূল কর্মীর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ দলেরই সদস্যের বিরুদ্ধে
Dubrajpur: জানা গিয়েছে, কালীপুজো উপলক্ষ্যে বাসহরী গ্রাম থেকে বিপদতারণ ভান্ডারী সহ চারজন ওই পঞ্চায়েতেরই সেকেন্দ্রাপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন।
দুবরাজপুর: দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। আর তার আগে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC group clash)। এবার ঘটনাস্থল দুবরাজপুর থানার পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসহরী গ্রামে। জানা গিয়েছে, কালীপুজো (kali puja) উপলক্ষ্যে বাসহরী গ্রাম থেকে বিপদতারণ ভান্ডারী সহ চারজন ওই পঞ্চায়েতেরই সেকেন্দ্রাপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। এদের প্রত্যেকের গন্তব্য ছিল পদুমার প্রাক্তন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডলের বাড়ি।
এবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুটা দূরে বসহরী গ্রামেই তাদের পথ আটকায় বর্তমান পদুমা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তরুণ গড়াইয়ের লোকজন বলে অভিযোগ। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন লাঠি, রড ও টাঙ্গি নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
এদের মধ্যে বিপদতারণ ভান্ডারীকে গুরুতর আহত হন। তাঁকে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। বিপদতারণবাবুর দুটি পা ও একটি হাত মারের চোটে ভেঙে গিয়েছে। আঘাত লেগেছে মাথায়ও। সেখানে সেলাই করতে হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর পিঠের আঘাতও বেশ গুরুতর। বিপদতারণবাবুর সঙ্গে থাকা অন্যান্যরা মার খেয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী বসহরী গ্রামে গিয়ে টহল দেয়। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা বোমা-গুলিতে লড়াইয়ের ফলে উত্তপ্ত হয়েছে।
এই বিষয়ে আহত বিপদতারণ ভান্ডারী বলেন, ‘একটি অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা আনতে যাচ্ছিলাম। তখনই আমাকে মারধর করা হয়েছে।’ যদিও, অপর গোষ্ঠী অর্থাৎ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই বিষয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও গোষ্ঠী কোন্দলের কথা অস্বীকার করে বলেছে যে এখানে কোনও ঝামেলা নেই। যেখানে স্বার্থের লড়াই সেখানেই ঝামেলা হচ্ছে। এই ব্যাপারে আমাদের কাছেও খবর এসেছে যে পদুমাতে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমাদের কাছে এমন খবর এসেছে। দলগতভাবে এই ঘটনার ব্যবস্থা নেব।