Birbhum: বাসের ভিতর সিগারেট হাতে মদ্যপদের দাপাদাপি, নিগৃহীত পুলিশকর্মীকে ফেরাল খোদ থানা
Police Harassment: ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান তিনি। কিন্তু কোথায় কী?খোদ পুলিশকর্মীর কাছ থেকেই অভিযোগ না নেওয়ার 'অভিযোগ' উঠল।
বীরভূম: মদ্যপান করে বাসে উঠেছিল কয়েকজন যুবক। এরপর বাসের মধ্যেই তাণ্ডব চালাতে থাকে তারা। রীতিমতো বিরক্ত করতে থাকে যাত্রীদের। পরে ওই একই বাসে ওঠেন এক পুলিশকর্মী। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান তিনি। কিন্তু কোথায় কী?খোদ পুলিশকর্মীর কাছ থেকেই অভিযোগ না নেওয়ার ‘অভিযোগ’ উঠল।
ঘটনাস্থান নানুর (Nanur)। সেখানকার বালিগুড়ি গ্রামের যুবক তথা বীরভূমের সদাইপুর থানার পুলিশকর্মী হলেন মহম্মদ শাহজাহান। গতকাল অর্থাৎ রবিবার দুপুর প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ সেই ডিউটি সেরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক আত্মীয়কে দেখতে যান তিনি। এরপর সেখান থেকে বালিগুনী ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
বাসে উঠে দেখেন চলন্ত বাসেই মদ্যপ অবস্থায় তাণ্ডব করছিল কয়েকজন যুবক। তার সঙ্গে চলছিল দফায়-দফায় সিগারেট। সেই সিগারেটের ধোঁয়ায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েন বাসযাত্রীরা। মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে তাঁরা। এখানেই শেষ নয় বাধা দিতে গেলে রীতিমতো বাসের মধ্যে গালাগালি দিতে থাকে অভিযুক্তরা।
এরপরই রুখে দাঁড়ান ওই পুলিশকর্মী। প্রতিবাদ করতে গেলে ওই মদ্যপ যুবকরা তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যান তিনি। সেখানে অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে নানুর থানা। বলা হয় হ্যান্ডরেড ডায়ালে অভিযোগ করতে। রীতিমতো আক্রান্ত পুলিশ কর্মী এই কথার পর কার্যত ভেঙে পড়েন। তিনি নিজে একজন পুলিশকর্মী হয়ে পুলিশের এহেন আচরণ আশা করেননি । ঘটনার পর থেকে কার্যত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আক্রান্ত পুলিশ কর্মী ।
আরও পড়ুন: CPIM: উপনির্বাচনের ফল অক্সিজেন জুগিয়েছে, এবার পুরভোটের সমীকরণ নির্ধারণে বৈঠকে সিপিএম
আক্রান্ত পুলিশকর্মী বলেন, “আমি কাজ শেষ করে মাকে দেখতে হাসপাতাল গিয়েছিলাম। তারপর সেখান থেকে বাড়ি ফেরার জন্য বাসে উঠি। সেই সময় কয়েকজন ছেলে বাসের মধ্যেই সিগারেট খাচ্ছিল। এরপর সেখানে বসে থাকা কয়েকজন মহিলাকে তারা অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করতে থাকে। প্রতিবাদ করি আমি। আমায় কিল,ঘুষি,চড় মারে ওরা। এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েও কিছুই হল না। প্রথমে অভিযোগ নিতেই চায়নি নানুর থানা। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ করি। এখন ওই মদ্যপ যুবকরা আমায় প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমি।”