AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Birbhum: টেট না দিয়েই চাকরি শিবঠাকুরের স্ত্রীর? লিপিকা বললেন ‘দিদিকে ভালবাসি এটাই আমার অপরাধ’

TET: ফের একবার চর্চায় দুবরাজপুরের শিবঠাকুর। তাঁর স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল প্রাথমিকের স্কুল শিক্ষিকা। অভিযোগ উঠছে, লিপিকা দেবী নাকি টেট পরীক্ষাই দেননি, অথচ চাকরি পেয়ে গিয়েছেন।

Birbhum: টেট না দিয়েই চাকরি শিবঠাকুরের স্ত্রীর? লিপিকা বললেন 'দিদিকে ভালবাসি এটাই আমার অপরাধ'
শিবঠাকুর মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 6:41 PM
Share

দুবরাজপুর: বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। সরাসরি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। সেই থেকেই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতা শিবঠাকুর মণ্ডল। আর এবার ফের একবার চর্চায় দুবরাজপুরের শিবঠাকুর। তাঁর স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল প্রাথমিকের স্কুল শিক্ষিকা। অভিযোগ উঠছে, লিপিকা দেবী নাকি টেট পরীক্ষাই দেননি, অথচ চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। আর শিবঠাকুর মণ্ডলই নাকি পঞ্চায়েতের প্রধান থাকাকালীন তাঁকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। যদিও সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন শিবঠাকুর। উল্টে বিরোধী শিবিরই ষড়যন্ত্র করে এইসব অভিযোগ রটাচ্ছে বলে পাল্টা বক্তব্য শিবঠাকুরের।

এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিবঠাকুর মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘কোন পাগল কী বলছে, তা আমার জানার দরকার নেই। আমার স্ত্রী বিয়ের আগেই চাকরি পেয়েছেন। তখন তাঁর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্কই ছিল না। সুতরাং, যে এসব কথা বলছে সে মূর্খের কথা বলছে।’ পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, পরীক্ষা না দিলে কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানে কেউ কাজ করতে পারে? শিবঠাকুরের দাবি, তাঁর স্ত্রীর চাকরিতে নমিনি রয়েছেন লিপিকা দেবীর বাবা। যখন তিনি চাকরির পরীক্ষা দিয়েছেন, তখন শিবঠাকুর মণ্ডল পঞ্চায়েতের প্রধানও ছিলেন না বলে দাবি।

এই গোটা ঘটনায় বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উস্কে দিচ্ছেন শিবঠাকুর। বলছেন, ‘ওরা এখন শেষের মুখে। পশ্চিমবঙ্গে ওদের এখন শেষের পর্যায়ে। গোটা দেশে ওদের যা প্রভাব, তাতে ওদের কেউই ভাল চোখে দেখছে না।’ শিবঠাকুরের স্পষ্ট দাবি, তাঁর স্ত্রী পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন।

শিবঠাকুরের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডলও এই জাতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। জানালেন, যাঁরা বলছে পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছি, তা সম্পূর্ণ ভুল। ২০১১ সালে অঙ্গনওয়াড়ির পরীক্ষাতেও তিনি পাশ করেছিলেন বলে দাবি শিবঠাকুরের স্ত্রীর। উল্টে এই গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিজেপির দিকেই আঙুল তুলছেন তিনি। বললেন, ‘আমি মমতা দিদিকে ভালবাসি এটাই আমার অপরাধ।’ লিপিকা দেবী বলছেন, তিনি ২০১২ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছেন এবং ২০১৪ সালে কাজে যোগ দেন।

যদিও বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা এই বিষয়ে বলেন, ‘তৃণমূলের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা কীভাবে শিক্ষকতার চাকরি বিক্রি করেছেন, দুর্নীতি করেছেন, তার প্রমাণ হল শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রী। যখন তাঁকে সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করছে, তখন তিনি সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারছেন না। শিবঠাকুরবাবু স্ত্রীর সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। প্রকৃত অর্থেই যদি তাঁর স্ত্রী চাকরি পেয়ে থাকেন, তাহলে তা প্রকাশ্যে বলা উচিত। যদি তিনি সত্যিই চাকরি পেয়ে থাকেন, তাহলে তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু, সংবাদমাধ্যমকে কেন তিনি ঠিকভাবে উত্তর দিতে পারছেন না, সেই উত্তরের অপেক্ষায় আমরা আছি।’