Visva-Bharati University: ‘বিশ্বরেকর্ড’ গড়ার পর ভুল বুঝল বিশ্বভারতী! TV9 খবরের জেরে সরলো ভুল মেধা তালিকা
Visva-Bharati University : বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, দ্রুত সংশোধিত মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বীরভূম: অবশেষে বিশ্বভারতীর(Visva-Bharati University) ওয়েবসাইট থেকে উঠল এমএডএর মেধা তালিকা। গতকাল TV9 বাংলা প্রথম তুলে ধরেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইডের মেধা তালিকায় বড়সড় ভুল। ১০০-র মধ্যে কেউ পেয়েছেন ১৫১ কেউ আবার পেয়েছেন ২০০। আর সেই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে। গতকাল সেই খবর সম্প্রচারের পরই বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মেধা তালিকার লিস্ট। এরপর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, দ্রুত সংশোধিত মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু গতকালের ভুল প্রকাশনা, পরে আবার সেটার প্রত্যাহার নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও কথা বলতে নারাজ। তবে পুনরায় মেধা তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্তে খুশি ছাত্রছাত্রীরা।
এই ঘটনার বিষয়ে বিশ্বভারতীর এক আধিকারিক জানান, “সম্পূর্ণটাই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। বিশ্বভারতীতে যে কোনও বিভাগে ভর্তির আবেদন পত্র পূরণ করতে হলে বিগত পরীক্ষাগুলিতে প্রাপ্ত নম্বর আবেদনকারীকেই প্রদান করতে হয়। সেক্ষেত্রে দুটি শূণ্যস্থান থাকে, একটিতে পূর্ণমান এবং অন্যটিতে প্রাপ্তমান দিতে হয়। এখন কোনও পড়ুয়া যদি পূর্ণমানের থেকে প্রাপ্তমান বেশি দিয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে শতাংশের ভিত্তিতে তা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু যেহেতু পড়ুয়াদের প্রদত্ত নম্বর বিশ্বভারতীর পক্ষে এডিট করা সম্ভব নয়, তাই প্রকাশিত মেধা তালিকাতেও সেই মানই প্রতিফলিত হয়।” যদিও এই ধরনের অবাস্তব মানের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করেন এক আধিকারিক। প্রয়োজনে এই ধরনের নম্বরের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য,সোমবার সন্ধেয় বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েব সাইটে এম এড-এর ফল প্রকাশ পায়। সেই রেজ়াল্ট দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয় পড়ুয়াদের। বিভ্রান্তিতে পড়েন ছাত্র-ছাত্রীরা। ১০০ মধ্যে কেউ পেয়েছে ২০০, কেউবা ১৯৮, আবার কেউ ১৫১। কর্তৃপক্ষের এই চরম গাফিলতি দেখে হতবাক সকলেই। কীভাবে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। যদিও এ বিষয়ে কোনও সদুত্তর কর্তৃপক্ষের কাছে পাওয়া যায়নি।
বিনয় ভবনে এম এডে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর। ৫০ আসনে পরীক্ষার জন্য বিশ্বভারতীর আভ্যন্তরীণ ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই পরীক্ষা দেন। এরমধ্যে ২৫ টি অভ্যন্তরীণ ও ২৫ টি আসন বহিরাগতদের জন্য সংরক্ষিত। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত ও ৪০ নম্বর অ্যাক্যাডেমিক স্কোরের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। পরীক্ষার পর মেধা তালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু সেখানে দেখা যাচ্ছে ল্যাঙ্গুয়েজ গ্রুপে দুই পড়ুয়া ১০০ এর মধ্যে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০০ দশমিক ২৮ ও ১৯৮,৩৮৫। এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগে দুই পড়ুয়া পেয়েছেন যথাক্রমে ১৯৬,৩৬৭ ও ১৫১,২৭৫। ১০০ মধ্যে কীভাবে পরীক্ষার্থীরা ২০০ বা ১৫০ পেলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত মেধা তালিকায় এমন ত্রুটি কেন থাকবে, সেই নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন ।
আরও পড়ুন: Bishnupur Tender Case: পুলিশের জালে এবার শ্যামের ছায়াসঙ্গী প্রাক্তন তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল নন্দী