Anubrata on Kunal Ghosh: ‘কোন কুণাল ঘোষ?’, চিনতেই পারলেন না অনুব্রত!
Anubrata on Kunal Ghosh: মমতার সঙ্গে একই গাড়িতে চেপে বগটুই যেতে দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। শুধু তাই নয়, নেত্রীকে পরামর্শ দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
বীরভূম : রামপুরহাটের বগটুইতে হত্যাকান্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সবার নজর ছিল অনুব্রত মণ্ডলের দিকে। ঘটনার পর অবলীলায় তিনি ব্যাখ্যা দেন, শর্ট সার্কিট হওয়ার ফলে আগুন লেগেছে। বিতর্কিত চরিত্র কেষ্ট মণ্ডলের মুখে এমন মন্তব্য তৈরি করে আরও এক বিতর্ক। অনুব্রত-র মন্তব্যই হয়ে ওঠে বিরোধীদের হাতিয়ার। তবে এরপরও দেখা যায় খোদ দলনেত্রীর গাড়িতে চেপে বগটুই গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। পুলিশকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পরামর্শও দিলেন তিনি। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু শুক্রবার দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্যের সুর অচেনা লেগেছে অনেকেরই। অনুব্রতকে বড় নেতা বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত-র কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে বীরভূমের দাপুটে নেতা কপালে ভাঁজ ফেলে বলেন, ‘কোন কুণাল ঘোষ?’
কুণাল ঘোষ শুধু তৃণমূলের একজন প্রথম সারির নেতাই নয়, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রও বটে। দলের অবস্থান জানাতে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন তিনিই। আর সেই নেতার নাম শুনে অনুব্রত যে অভিব্যক্তি দিলেন, যেন তিনি চিনতেই পারলেন না কুণাল ঘোষের নাম।
অনুব্রত-কে প্রশ্ন, ‘কুণাল ঘোষ বলেছেন, ও বড় নেতা, বোঝে বেশি, কী বলবেন?’ অনুব্রত-র পাল্টা প্রশ্ন, ‘কোন কুণাল ঘোষ?’ অনুব্রতকে জবাবে বলা হল, ‘তৃণমূলের কুণাল ঘোষ।’ অনুব্রত আবার বলেন, ‘কী বলেছে?’ বলা হয়, ‘বলেছেন ও বড় নেতা, বোঝে বেশি।’ এরপর অনুব্রত-র জবাব, ‘কুণাল ঘোষ কী বলেছে, সে ব্যাপারে আমি বলতে রাজি নই।’
যাঁর মাথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আছে বলে মনে করেন অনেকেই তাঁর সঙ্গে এমন কী হল যে কুণাল ঘোষ এ ভাবে কটাক্ষ করলেন, তা স্পষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে জেলা সভাপতি পরামর্শ দিয়েছিলেন যাতে সূঁচপুরের মতো করে সাজানো হয় বগটুই মামলা। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রশ্ন উঠতেই কুণাল ঘোষ বলেন, ‘উনি বড় নেতা, বেশি বোঝেন। ওনার সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’ একবার নয়, পরপর দুবার কুণালকে এ কথা বলতে শোনা যায়।
উল্লেখ করা প্রয়োজন, বগটুই-কান্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডলের চাপ বাড়ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এমনিতেই গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে আছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত। এবার বগটুই গণহত্যায় তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ লড়াই নিয়ে তদন্ত শুরু হলে কেষ্ট মণ্ডলে ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ‘বড় নেতা, বেশি বোঝেন’, অনুব্রত-র নাম শুনে কি চটে গেলেন কুণাল?