দুর্গাপুর : ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ( post-poll violence) দ্রুত তদন্তের জাল গোটাচ্ছে সিবিআই (CBI)। এদিকে সিবিআই জেরা শেষে ইতিমধ্যেই ঘরে ফিরেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal)। তবে অনুব্রতর সাময়িক মুক্তি মিললেও মুক্তি নেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতাদের। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রবিবার দুপুরে হাজিরা দিতে আসেন ইলামবাজার ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুর রহমান। ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিনেই ইলামবাজারে গোপালনগরে খুন হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে এই মামলায় ইতিমধ্যেই বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
তারপর একের পর এক ডাক পড়তে শুরু করেছে অনুব্রত ঘনষ্ঠ নেতাদের। দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অনুব্রত মন্ডল ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। ঘটনার দিন অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে যাঁরা ফোনে কথা বলেছেন তাঁদের অনেককেই ডাকা হচ্ছে। রবিবার সকালে দুর্গাপুরে সিবিআই ক্যাম্পে হাজিরা দেন গুসকরা ২ নম্বর অঞ্চল সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায়ও। দুপুরে হাজিরা দিতে আসেন ইলামবাজার ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুর রহমান।
হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফজলুর রহমান জানিয়েছেন তাদের হেনস্থা করতেই তলব করা হয়েছে। তবে তদন্তের জন্য সিবিআই যতবার ডাকবে ততবারই আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি এও জানান অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষীদেরও সিবিআই তলব করেছে। তবে কোন কোন দেহরক্ষীকে ডাকা হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।